সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রি (Child trafficking) করে দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতায় মুখোশ খুলে গেল চক্রান্তকারীদের। অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে রয়েছে এক ডাক্তারও! এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, এই ঘৃণ্য পরিকল্পনার পাণ্ডা সে-ই। একজন ডাক্তার হয়ে কী করে সে এমন কাজে জড়াল তা বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনা মুম্বইয়ের (Mumbai)। পুলিশ রীতিমতো ফাঁদে ফেলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। আট মাসের শিশুটিকে আপাতত এক হোমে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় ভারতে পেট্রলের দাম বেশি কেন? সংসদে ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রী]
আগে থেকেই খবর ছিল। সেইমতো পুলিশ ফাঁদ পাতে মুম্বইয়ের পূর্ব ভিরারের এক বাস ডিপোর কাছে। সেখানেই ওই শিশুকন্যাটিকে ডাক্তারের কাছ থেকে নেওয়ার জন্য হাজির ছিল এক নিঃসন্তান দম্পতি। পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে কেনার কথা ছিল তাদের। অভিযুক্ত ডাক্তার জিতেন বালা সেখানে পৌঁছেও যায়। শিশুটিকে হস্তান্তরিত করার সময়ই সেখানে হাজির হয় পুলিশ। ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করা হয় বছর আটচল্লিশের ওই ডাক্তার এবং সঞ্জিৎ মণ্ডল ও মঞ্জু নামের স্বামী-স্ত্রীকে। এছাড়াও অনিতা ভাবে নামের ৫০ বছরের এক প্রৌঢ়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, সে-ই ওই ডাক্তার এবং দম্পতির মধ্যে মধ্যস্থতার কাজ করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযুক্তকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে, সে সরাসরি শিশুটিকে বিক্রি করতে চেয়েছিল, নাকি এর সঙ্গে কোনও এজেন্টও জড়িত রয়েছে। চার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০(১) ধারায় জ্ঞানত মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুভেনাইল জাস্টিস বিল অনুযায়ীও মামলা রুজু হয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ভাসাই আদালতে তোলা হবে তাদের।
এর মধ্যেই আরও একটি বিষয় নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। শিশুটির বাবা-মা’র কোনও পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তাঁদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত শিশুটি হোমেই থাকবে। শিশুকন্যাটিকে অপহরণ করা হয়েছিল, নাকি তার অভিভাবকরাও এই বিক্রির সঙ্গে যুক্ত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটাও।