সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ে (Mumbai) আইসক্রিমের ভিড়ে মানুষের কাটা আঙুল ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এর মধ্যেই সামনে এল নয়া সম্ভাবনা। ওই কাটা আঙুলটি কার, তা নিয়ে নানা জল্পনা শোনা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে যা তথ্য এসেছে তা থেকে মনে করা হচ্ছে ওই আঙুল পুণের ওই আইসক্রিম কারখানারই এক কর্মীর!
সম্প্রতি পুণের ইয়োম্মো আইসক্রিমের কারখানায় এক কর্মীর আঙুল কেটে গিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার যে তারিখ তা মিলে যাচ্ছে ওই আইসক্রিমটির প্যাকিংয়ের তারিখের সঙ্গে, যেটির মধ্যে আঙুল পাওয়া গিয়েছিল। আঙুলটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট হাতে এলেই বোঝা যাবে এই আশঙ্কা ঠিক কিনা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে পশ্চিম মালাডের বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক এক যুবতী স্থানীয় দোকান থেকে এক নামী কোম্পানির আইসক্রিম কোন অর্ডার করেছিলেন অনলাইনে। কিন্তু যেই এক কামড় বসাতে যাবেন তখনই দেখেন আইসক্রিমের মধ্যে নখ সমেত একটি কাটা আঙুল। সেটির ভিডিও করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: গ্রামের দখল কার হাতে? লাগাতার বোমাবাজি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত পাড়ুই]
২৬ বছরের তরুণী জানিয়েছিলেন, তিনি আইসক্রিম খাওয়ার সময় আচমকাই তাঁর মুখে শক্ত কিছু বেঁধে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন ওটা চকোলেটের টুকরো। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন সেটা চকোলেটের টুকরো নয়, মানুষের আঙুল। তাতে নখটাও পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে! এবিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ''আমি একজন চিকিৎসক। আমি জানি দেহের অঙ্গগুলি কেমন দেখতে। ভালো করে সেটি পরীক্ষা করতেই বুঝতে পারি ওটা কারও আঙুল। এমনকী আঙুলের ছাপটিও স্পষ্ট। এটি একটি বুড়ো আঙুল। বুঝতে পারার পর আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই।'' প্রসঙ্গত, পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্যে ভেজাল ও মানবজীবন বিপন্ন করার অভিযোগে ইয়োম্মোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।