সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুক লাইভে (Facebook live) এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বছর তেইশের এক তরুণ। তারপরই গলায় ব্লেড ধরে তিনি সকলকে জানিয়ে দেন, এজীবন তিনি আর রাখবেন না। আচমকাই এমন এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে শিউরে উঠেছিলেন নেটিজেনরা। কী করে ওই তরুণকে মৃত্যুর মুখ থেকে সরিয়ে আনা যায় ভেবে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। সৌভাগ্যবশত শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। সৌজন্যে ফেসবুক (Facebook) কর্তৃপক্ষ। তাঁদেরই তৎপরতায় বিষয়টি মুম্বই পুলিশের নজরে আসে।
ঠিক কী হয়েছিল? গত রবিবার রাতে লাইভে এসে আত্মহত্যার (Suicide) কথা ঘোষণা করেন মুম্বইয়ের (Mumbai) ঢুলে এলাকার বাসিন্দা তরুণটি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি গলায় চেপে ধরতে থাকেন ব্লেড। ঠিক সেই সময়ই মুম্বই পুলিশের সাইবার ডিসিপি রেশমি কারান্ডিকার একটি ফোন পান। আয়ারল্যান্ডের ফেসবুক সদর দপ্তর থেকে আসা ফোনেই তিনি জানতে পারেন ওই তরুণের আত্মহত্যার চেষ্টার কথা।
[আরও পড়ুন:‘দ্রুত এগোচ্ছে দেশ’, কোচি-মেঙ্গালুরু পাইপলাইনের উদ্বোধনে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী ]
প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় যেখান থেকে লাইভ হচ্ছে, তার লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা। রেশমি জানাচ্ছেন, ‘‘মিনিট দশেকের মধ্যে আমরা লোকেশন বের করে ফেলি। জানতে পারি ঢুলে এলাকার এক বিল্ডিংয়ে রয়েছেন ওই তরুণ। তারপরই দ্রুত ওই এলাকার থানায় যোগাযোগ করি। কথা বলি সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে।’’
অবশেষে রাত ন’টা নাগাদ তরুণের বাড়ি পৌঁছে যায় পুলিশ। দেখা যায়, রক্তে ভেসে যাচ্ছে তরুণটির গলা। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে জানা গিয়েছে, তিনি বিপন্মুক্ত। কেমন ছিল দ্রুতগতিতে ওই তরুণকে বাঁচাতে যাওয়ার মুহূর্তটি? এক অফিসারের কথায়, ‘‘যেন সময়ের সঙ্গে রেস করতে নেমেছিলাম। লাইভ স্ট্রিমে ততক্ষণে গলায় ব্লেড বসিয়ে ফেলেছেন ওই তরুণ! তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৌঁছতে হত আমাদের।’’