সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ৷ শিশু থেকে বয়স্ক, এই সামাজিক ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই৷ বাদ যাচ্ছেন না অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও৷ এবার ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের সাংলি৷ স্বামীকে বেঁধে রেখে আটজন মিলে ধর্ষণ করে ওই মহিলাকে৷ নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷
[আলমারি থেকে উদ্ধার যুবতীর পচা-গলা মৃতদেহ, কাঠগড়ায় বিবাহিত প্রেমিক]
সাতারার বাসিন্দা বছর কুড়ির ওই মহিলার স্বামী একজন হোটেল ব্যবসায়ী৷ আরও এক দম্পতি তাঁদের ব্যবসায় যোগ দিতে চাইছিলেন৷ সে বিষয়ে আলোচনায় ব্যক্তিগত গাড়ি করে তাসগাঁওতে যাচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী দম্পতি৷ গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই মুকুন্দ মানে নামে এক যুবক ওই হোটেল ব্যবসায়ী দম্পতিকে ফোন করে৷ চাকরি প্রয়োজন বলেই ফোনে জানায় সে৷ কাজে যোগ দেওয়ার আগেই কুড়ি হাজার টাকা দাবিও করে মানে৷ ব্যবসায়ী আদৌ ওই প্রস্তাবে রাজি কি না, তা জানানোর সুযোগ না দিয়েই ফোন কেটে দেয় সে৷ ফোনালাপের কিছুক্ষণের মধ্যেই আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে সাংলি পৌঁছান ওই হোটেল ব্যবসায়ী৷ মুকুন্দ মানেও উপস্থিত ছিল সেখানে৷ তার সঙ্গে ছিল আরও বেশ কয়েকজন৷ অভিযোগ, কোনও কথা না বলেই দম্পতিকে মারধর করতে শুরু করে তারা৷ পাইপ, লাঠি দিয়ে চলে বেধড়ক মারধর৷ এমনকী ওই দম্পতির কাছে থাকা টাকাপয়সা ও মহিলার গায়ে থাকা গয়নাগাটিও লুট করে অভিযুক্তরা৷ এখানেই শেষ নয়৷ মানে ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা ওই মহিলার স্বামীকে গাড়ির মধ্যেই বেঁধে রাখে৷ স্বামীর উপস্থিতিতে আটজন মিলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ করে বলেই অভিযোগ৷ গোটা ঘটনা পুলিশকে জানালে, ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দেয় অভিযুক্ত আট যুবক৷ এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় তারা৷
[জীবন্ত মুরগি চিবিয়ে খেল মদ্যপ যুবক, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর ভিডিও]
এরপর কোনওক্রমে তাসগাঁও থানায় পৌঁছান ওই দম্পতি৷ গণধর্ষণ ও লুটপাটের অভিযোগ দায়ের করেন দু’জনে৷ মুকুন্দ মানে, সাগর, জাভেদ খান ও বিনোদ নামে চারজনকে চিনতে পারলেও, বাকি আর চারজনের কোনও পরিচয় দিতে পারেননি ওই দম্পতি৷ আটচল্লিশ ঘণ্টা কেটে গেলেও, এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ তাসগাঁও থানার পুলিশের কাছ থেকে গোটা ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর৷
The post স্বামীকে গাড়িতে বেঁধে রেখে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ ৮ যুবকের appeared first on Sangbad Pratidin.