shono
Advertisement

ভুয়ো এনকাউ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ‘সুপার কপ’ প্রদীপ শর্মা, যাবজ্জীবন সাজা

তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।
Posted: 08:19 PM Mar 19, 2024Updated: 08:19 PM Mar 19, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০টির বেশি ‘এনকাউন্টার’ করা প্রদীপ শর্মার (Pradeep Sharma) ত্রাসে কাঁপত মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ড। সেই দাবাং পুলিশ আধিকারিককে ২০০৬ সালের একটি ‘ফেক’ এনকাউন্টার মামলায় মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের ঘনিষ্ঠ লক্ষণ ভাইয়া ওরফে রামনারায়ণ গুপ্তাকে ২০০৬ সালে এনকাউন্টার করেন মুম্বই পুলিশের তৎকালীন এনকাউন্টার স্পেশালিষ্ট প্রদীপ। সেই এনকাউন্টারকেই ‘ভুয়ো’ বলল আদালত।

Advertisement

একই মামলায় ট্রায়াল কোর্ট মুক্তি দিয়েছিল প্রদীপ শর্মাকে। যদিও বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানাল, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে অকাট্য প্রমাণ ছিল তা এড়িয়ে গিয়েছে ট্রায়াল কোর্ট। এদিন সেই রায় খারিজ করেন বিচারপতিরা। প্রদীপকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর পরেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন বিচারপতিরা। আদালত আরও জানিয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সেশনস কোর্টের সামনে দোষীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। পাশাপাশি যে ১৩ জনকে ট্রায়াল কোর্ট যাবজ্জীবন দিয়েছিল, সেই রায় বহাল রাখে হাই কোর্ট। যদিও অন্য ছজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

 

[আরও পড়ুন: যতকাণ্ড যোগীরাজ্যে, সরকারি টাকা হাতাতে দিদির কপালেই সিঁদুর দিলেন ভাই!]

লক্ষণ ভাইয়া ওরফে রামনারায়ণ গুপ্তাকে খুনে মোট ২২ জন অভিযুক্ত ছিল। এদের মধ্যে ১৩ জন পুলিশকর্মী। ২০২৩ সালে দায়রা আদালতে ২১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়। যদিও প্রমাণ অভাবে মুক্তি পান মূল অভিযুক্ত প্রদীপ শর্মা। এর পর মামলা ওঠে হাই কোর্টে। যেখানে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি দেওয়া হল এনকাউন্টার স্পেশালিস্টকে।

 

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রামদেব, পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম তলব যোগগুরুকে]

কর্মজীবনে ১১৩ জন কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে প্রদীপ শর্মার হাতে। অপরপক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উছেঠে। পুলিশের চাকরিতে ৩৫ বছর কাটিয়ে ২০১৯-এর জুলাই মাসে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। ২০২০ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। শিবসেনার হয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনেও দাঁড়ান। কিন্তু বহুজন বিকাশ আঘাডির ক্ষিতিজ ঠাকুরের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। নির্বাচনে লখন ভাইয়ার ভাই রামপ্রসাদ গুপ্ত তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছিলেন।লখন ভাইয়া হত্যার জেরেই যাবজ্জীব কারাদণ্ড হল দাবাং পুলিশ আধিকারিকের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement