সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় বছরের ছোট মেয়েটি একে তো নিজের মেয়ে নয়, তার উপর অসুস্থতার জন্য একটানা কেঁদেই চলেছে৷ এত সাহস এটুকু মেয়ের? একে শাস্তি দাও! শাস্তি দিলও সৎমা৷ ওটুকু মেয়ের মাথাটা দেয়ালে ঠুকে দিলেন৷ ব্যথা পেয়ে কান্না বাড়লে, রাগ যেন আরও বেড়ে যায়৷ ক্রমাগত মেয়ের মাথা ঠুকতে থাকে দেওয়ালে৷ এবার একসময় যন্ত্রণার হার এতটাই বেড়ে গেল যে শিশুটি আর কাঁদল না৷ এবার মা’র শান্তি৷ নিথর দেহ পরে রইল শিশুটির৷ বিরক্ত হয়ে একেবারে খুনই করে ফেলল মেয়েকে মা৷
গত শনিবার এই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল চেম্বুর৷ গতবছরই আবদুল শেখ তাঁর প্রথমপক্ষের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয়বার রাজিয়াকে বিয়ে করে৷ আগের পক্ষে আবদুলের দুটি সন্তান ছিল৷ একটি ছেলে এবং দেড় বছরের মেয়েটি৷ তাদের দেখাশোনা করত রাজিয়া৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “আবদুলের ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা রয়েছে৷ কাজের সূত্রে তিনি বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন৷ রাজিয়ার দায়িত্ব ছিল সন্তানদের দেখাশোনা করা৷ কিন্তু বেশিরভাগ সময় সন্তানদের খেতে দিত না রাজিয়া৷ তাদের বাড়িতে রেখে আত্মীয়দের বাড়িতে ঘুরতে চলে যেত সে৷”
শনিবার রাতে তার মেয়েটি অসুস্থ ছিল বেশ৷ অসুস্থতার জন্য সে খুবই কান্নাকাটি করছিল৷ রাজিয়া তাকে পুতুল খেলতে দিলেও সে সেই খেলনা ফেলে দেয়৷ রাজিয়ার তখন নাকি বেশ ঘুম পেয়েছিল৷ আর তাই মেয়ের কান্নায় বেশ বিরক্ত হয় সে৷ রাগের মাথায় মেয়ের মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয়৷ আর এই মারেই মরে যায় শিশুটি৷