shono
Advertisement

Breaking News

বদলে যাবে মুম্বইয়ের রাস্তার চেনা ছবি! আর ছুটবে না বিখ্যাত ‘কালি-পিলি’ ট্যাক্সি

সোমবার থেকেই বাণিজ্যনগরীতে 'অতীত' কালো-হলুদ ট্যাক্সির জমানা।
Posted: 01:19 PM Oct 29, 2023Updated: 01:22 PM Oct 29, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবর্তনই জগতের নিয়ম। তবুও যা বহুকাল থাকে, তার চলে যাওয়া সহজ নয়। সোমবার থেকে আর মুম্বইয়ের রাজপথে দেখা মিলবে না বিখ্যাত ‘কালি-পিলি ট্যাক্সি’র। স্বাভাবিক ভাবেই মনখারাপ বহু মানুষের। কিন্তু ‘যেতে নাহি দিব’ বলে আর রোখা যাবে না এই ট্যাক্সিকে। আগামিকাল থেকে সে ‘অতীত’ হয়ে যাবে। এর পর থেকে কেবলই এসি ক্যাবেরই রাজত্ব চলবে বাণিজ্যনগরীতে।

Advertisement

গত ৬ দশক ধরে বম্বে বা মুম্বইয়ের (Mumbai) কথা বললে যে ছবিগুলো ভেসে ওঠে, তার অন্যতম ওই কালো-হলুদ ট্যাক্সি। বহু বলিউডের ছবিতেও দেখা মিলেছে ‘প্রিমিয়ার পদ্মিনী’ ট্যাক্সির। এবার শেষ হচ্ছে স্মৃতিমেদুর এই যাত্রা। আসলে ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর শেষবার কোনও হলুদ-কালো ট্যাক্সির রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। যা শেষ হচ্ছে রবিবার। ফলে সোমবার থেকে আর এই ট্যাক্সির দেখা মিলবে না রাস্তায়। সেই ‘শেষ ট্যাক্সি’র মালিক আবদুল করিম কারসেকার বলছেন, ”ইয়েহ মুম্বই কি শান হ্যায় অউর হামারি জান হ্যায়।” সেই ‘শান’ এবার কেবল স্মৃতির আলোতেই ঝলমল করবে।

[আরও পড়ুন: নিখোঁজ ছেলেকে উদ্ধারে সাহায্য BJP বিধায়কের, ‘কৃতজ্ঞতা’য় দলবদল TMC পঞ্চায়েত সদস্যের]

যদিও এই মডেলের উৎপাদন বন্ধই হয়ে গিয়েছে ২০০০ সাল থেকে। তবে পথে চলত বহু গাড়িই। কিন্তু বায়ুদূষণের অভিযোগে সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর নয় এই গাড়ি। যতই সরু থেকে আরও সরু রাস্তায় দিব্যি চলতে পারুক, থামিয়ে দেওয়া হবে ওই গাড়ির চাকা। একসময় শহরজুড়ে ঘুরে বেড়াত ৬৩ হাজার ট্যাক্সি। তা অবশ্য সংখ্যায় কমতে কমতে ৪০ হাজারে নেমে এসেছিল।

গত শতকের ছয়ের দশক। ১৯৬৪ সালে বাজারে এসেছিল ১১০০ ডিলাইট। যা ফিয়াটের এক দেশীয় সংস্করণ। সেই গাড়িই নাম পালটে ‘প্রিমিয়ার প্রেসিডেন্ট’ থেকে ‘প্রিমিয়ার পদ্মিনী’ হয়ে ওঠে ক্রমে। অমিতাভের ‘ডন’ থেকে শাহরুখের ‘অনজাম’, কত ছবিতেই মুম্বইয়ের চরিত্র হয়ে উঠেছিল ‘কালি-পিলি ট্যাক্সি’।

ক্লাসিক গাড়ির অনুরাগী ড্যানিয়েল সিকেরিয়া গবেষণা করেন ট্যাক্সি নিয়ে। তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন এই ট্যাক্সির বিদায়ের কথা বলতে গিয়ে। তাঁর কথায়, ”এই শহরে আমরা কত পুরনো স্মৃতিসৌধের সংরক্ষণ করি। সেভাবে দেখলে এই সব ট্যাক্সিকেও (Taxi) সংরক্ষণ করা উচিত। এরা যে জীবন্ত মনুমেন্ট!” কিন্তু তাঁর কথা কে আর শুনবে? ইট-কাঠ-পাথরের শহরে যা হারিয়ে যায়, তা আসলে হারিয়েই যায়। কেবল মানুষের স্মৃতিতে অমোঘ জলছাপ হয়ে থেকে যায়। কাল থেকে কালি-পিলি ট্যাক্সিও সেই রাস্তাতেই ছুটে বেড়াবে।

[আরও পড়ুন: পরপুরুষে মজে স্ত্রী! সন্দেহের বশে অ্যাসিড হামলা স্বামীর, আক্রান্ত মেয়ে ও একরত্তি নাতিও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement