সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে কোমর বেঁধে নামল সিবিআই। বুধবার সকাল থেকে কলকাতা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সিবিআই হানা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বুধবার সকালে সিবিআই সল্টলেক পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর, নগরায়ণ ভবন, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, চুঁচুড়া, শান্তিপুর, বারাকপুর, নিউ বারাকপুর, পানিহাটি, কাঁচরাপাড়া, কামারহাটি ও টিটাগড় পুরসভায় হানা দেয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাট ও সংস্থাতেও তল্লাশি চালান তদন্তকারী। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও সংগ্রহ করে সিবিআই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত ধামাচাপা দিতেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রায় একই সুর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের গলায়। তাঁর দাবি, “যখনই এমন কোনও ইস্যু তৈরি হচ্ছে যাতে মানুষ বিরক্ত হচ্ছে। তখনই নজর ঘোরাতে সিবিআই-ইডি তৎপর হচ্ছে।” এছাড়া শুভেন্দু অধিকারীকেও আরও একবার ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে না, সেই প্রশ্নের তোলেন কুণাল।
[আরও পড়ুন: ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তদন্ত ১৫ জুনের মধ্যে! কেন্দ্রের আশ্বাস পেয়েই স্থগিত কুস্তিগিরদের বিক্ষোভ]
তৃণমূলের এই অভিযোগ নস্যাৎ করতে আসরে নেমেছে বিজেপিও। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পালটা প্রতিক্রিয়া দেন। শিক্ষাক্ষেত্রে এবং পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কথা উল্লেখ করে তাঁর খোঁচা, “২০১১ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা ছাড়া চাকরি হয়নি।” এদিকে, শান্তিনিকেতনের রতন কুঠি গেস্ট হাউসেও পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন ব্যাংক কর্মীকে তলব করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও।
দেখুন ভিডিও: