সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিআইডি হেফাজত থেকে পালাল খুনে অভিযুক্ত বন্দি। গত বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহগামী আজমের এক্সপ্রেসে। পলাতক অভিযুক্তের নাম হাফিজুল শেখ। বাড়ি ডায়মন্ড হারবারে। খুনের পর আজমের শরীফে গা-ঢাকা দিয়েছিল সে। সিআইডি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে কলকাতায় নিয়ে আসছিল।
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবারে একটি খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাফিজুল শেখ। খুন করেই সে এলাকা ছাড়ে। ডায়মন্ডহারবার পুলিশ তদন্তে নেমে কোনও কুল কিনারা পায়নি। তাই খুনের তদন্তভার চলে যায় সিআইডি-র হাতে। তদন্তে নেমেই গোপন সূত্রে সিআইডির কাছে খবর আসে আজমের শরীফে গা-ঢাকা দিয়ে আছে হাফিজুল শেখ। এরপরই রাজস্থান পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় সিআইডির তরফে। শুরু হয় হাফিজুলের খোঁজ। সিআইডি আধিকারিকরা তড়িঘড়ি রাজস্থানে পৌঁছান। গত মঙ্গলবার সেখানে হাতেনাতে ধরা পড়ে হাফিজুল শেখ। পরের দিন শিয়ালদহগামী আজমের এক্সপ্রেসে অভিযুক্তকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন সিআইডি আধিকারিকরা। ট্রেনে কড়া প্রহরার মধ্যে ছিল অভিযুক্ত। এলাহাবাদ জংশনের কাছে আচমকাই সিগন্যালে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। সেই সুযোগে তদন্তকারী আধিকারিকদের বোকা বানিয়ে হাতকড়া পরা অবস্থাতেই ট্রেন থেকে লাফ দেয় অভিযুক্ত। এতটাই দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে যে পালটা প্রতিরোধের সুযোগই পাননি সিআইডির আধিকারিকরা। এলাহাবাদ জংশনে সবাই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনাটি জানানো হয়। তারপর এলাহাবাদ পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই তল্লাশি শুরু হয়।
[যোগীর পথে হিমাচল সরকার, নাম বদলে ‘শিমলা’ হতে পারে ‘শ্যামলা’]
বুধবার থেকেই চলছে তল্লাশি। তবে এখনও পর্যন্ত হাফিজুল শেখকে ধরতে পারেনি পুলিশ। গোটা ঘটনায় সিআইডি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আধিকারিকদের হেফাজত থেকে কী করে খুনে অভিযুক্ত বন্দি পালিয়ে গেল তানিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। এই পালানোর ঘটনায় কোনও তদন্তকারী আধিকারিক জড়িত ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশের অভিমত, এলাবাদেই লুকিয়ে বসে আছে হাফিজুল।
[সন্ত্রাস বিধ্বস্ত জম্মুতে গেরুয়া ঝড়, শুভেচ্ছা অমিতের]
The post চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ, সিআইডি হেফাজত থেকে উধাও বন্দি appeared first on Sangbad Pratidin.