চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: বরাতের যুদ্ধে জিতে গেলেন এক CRPF জওয়ান। দশ বছর ধরে লটারির (Lottery) টিকিট কেটে বারবার খালি হাতে ফিরতে হচ্ছিল তাঁকে। তবে এবারে ভাগ্য দেবতা মুর্শিদাবাদের বড়ঞার পাঁচথুপি গ্রামের বাসিন্দা পার্থ রজককে হতাশ করেননি। শনিবার পার্থবাবু জানতে পারেন, লটারিতে তিনি একেবারে প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা পেয়েছেন। মুখে সাফল্যের চওড়া হাসি নিয়ে ওই CRPF জওয়ান জানালেন, কোটি টাকার প্রথম পুরস্কারের বেশিরভাগই গ্রামের মন্দির নির্মাণ প্রকল্পে উৎসর্গ করবেন। এলাকার গরিব মানুষের সাহায্যেও কিছু খরচ করবেন। এসব দিয়ে যা থাকবে তা তিনি পরিবারের জন্য ব্যয় করবেন।
শনিবার পার্থবাবুর এই কোটি টাকার লটারি প্রাপ্তির খবরে এককথায় হই-চই পড়ে যায় পাঁচথুপি গ্রামে। পাশাপাশি তাঁর মন্দির তৈরির জন্য অর্থ দান করার ঘোষণায় রীতিমতো খুশি এলাকাবাসী। পার্থবাবুর স্ত্রী সবেতন রজক বলেন, “আমার স্বামী প্রায়ই লটারির টিকিট কাটতেন। সেইসঙ্গে বলতেন প্রথম পুরস্কার পেলে গ্রামের মন্দির তৈরির জন্য টাকা দেব। স্বামীর এই লটারি পাওয়ায় আমি খুবই খুশি।” অন্যদিকে পার্থ রজকের পড়শি শোভন দাস বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই গ্রামে মন্দির করার প্রস্তুতি শুরু করেছি। পার্থকে নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত।”
[আরও পড়ুন: COVID-19 UPDATE: ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে বাংলা, গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল সংক্রমণ ও মৃত্যু]
মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানার আছোয়া পাড়ার বাসিন্দা পার্থ রজক। বর্তমানে CRPF-এ কর্মরত পার্থবাবুর জম্মু-কাশ্মীরে পোস্টিং। বাড়িতে রয়েছে পরিবারের বাকি সদস্যরা। পাঁচথুপি গ্রামে ঝাঁ-চকচকে পাকা বাড়ি থাকলেও মূলত লটারিতে প্রথম পুরস্কারের নেশায় প্রায়ই লটারি কাটতেন ওই জওয়ান। পার্থ রজক জানান, কর্মস্থানে থাকার সময় এবং বাড়ি ফিরেও আমি প্রত্যেকদিন একঘর করে লটারির টিকিট কাটতাম।
অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার পাঁচথুপি বাজারে গিয়ে লটারির টিকিট কাটি ৬০ টাকা দিয়ে। শনিবার সকালে টিকিট মেলাতে গিয়ে দেখি আমার প্রথম পুরস্কার লেগেছে এক কোটি টাকা। তারপরেই আমি ঠিক করি গ্রামবাসীদের ডেকে ওই টাকা দিয়ে গ্রামে মন্দির করার কথা বলব। ভগবানের দান বলা যায় লটারির এই এক কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামের ছেলের এই প্রাপ্তিতে উৎসাহিত গোটা গ্রাম। তাঁরা এখন গ্রামে মন্দির তৈরির তোড়জোড়ে ব্যস্ত।