সুব্রত বিশ্বাস: জমির মালিকানা নিয়ে টানাপোড়েন। তার জেরে থমকে রেললাইন তৈরির কাজ। কাজ শুরুর দাবিতে চলতি মাসের ১২ তারিখ রেল অবরোধের ডাক দিলেন মুর্শিদাবাদ প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। জঙ্গীপুর-সহ একাধিক স্টেশনে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলে লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
নসিপুর ব্রিজের উপর দিয়ে রেল লাইন তৈরির কাজ থমকে রয়েছে। কারণ, জমি মালিকের সংখ্যা নিয়ে টানাপোড়েন। তাই ১২ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদ প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন জঙ্গীপুর–সহ কয়েকটি স্টেশনে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, লালগোলা শাখার কাশিমবাজার ও জিয়াগঞ্জের মাঝে নসিপুর। তার আগে একটি হল্ট স্টেশন থাকলেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এদিকে গঙ্গার উপর দিয়ে নসিপুর ব্রিজ তৈরি হলেও জমি জটের ফলে লাইন চালু হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন : বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যেই মৃত্যু কেশপুরের অধ্যাপকের, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
জানা গিয়েছে, ব্রিজের কাছে একটি জমির চারজন মালিক থাকলেও পরে তা বেড়ে ৭২ জন হয়। প্রথমে রেল জমির মালিকপক্ষের ১১ জনকে চাকরি দেয়। কিন্তু মালিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে রেল। যাত্রীদের দাবি, ব্রিজ লাইনটি লালাগোলা শাখার সঙ্গে যুক্ত হলে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের কলকাতা আসতে আরও কম সময় লাগবে। বর্তমানে আজিমগঞ্জ–কাটোয়া–ব্যান্ডেল–নৈহাটি–শিয়ালদহ হয়ে কলকাতা আসতে তাদের যা সময় লাগে ব্রিজের উপর দিয়ে লাইন চালু হলে দেড় ঘণ্টা কম লাগবে। এদিকে যাত্রীদের দাবি কার্যকর না হওয়ায় রেল অবরোধ কর্মসূচি নিচ্ছে যাত্রী সমিতি।
এদিকে মঙ্গলবার স্টপেজের দাবিতে কৃষ্ণনগর শাখার জালালখালিতে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। তাদের দাবি, ২৮টি কৃষ্ণনগর লোকাল চললেও ন’টি ট্রেনের জালালখালিতে স্টপেজ নেই। ফলে চরম সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা। সব ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে এই দাবিতে এদিন সকাল সাতটা থেকে সওয়া নটা পর্যন্ত রেল অবরোধ চলে।