সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজান বিতর্কের মধ্যে ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়েছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। সেই নিয়ম মেনে এবার সমস্ত মসজিদকে রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে অনুরোধ করল মুসলিম সংগঠন জামিয়াত-উলামা-ই-হিন্দ (Jamiat-Ulama-i-Hind)।
সোমবার মহারাষ্ট্র হাই কোর্টের আগের নির্দেশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যটির স্বরাষ্ট্র বিভাগ। ওই দিন জানানো হয়, যে কোনও ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এদিন জামিয়াত-উলামা-ই-হিন্দের মহারাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি গুলজার আজমি (Gulzar Azmi) বলেন, “ইতিমধ্যে রাজ্যের অধিকাংশ মসজিদ লাউডস্পিকার ব্যবহারের জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছে। আমার অনুরোধ, যারা এখনও লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি নেননি, তারা অবশ্যই অনুমতি নিন।”
[আরও পড়ুন: মার্কিন হুমকির পরোয়া না করেই রাশিয়া থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ তেল আমদানি করছে ভারত]
গুলজার আজমি আরও বলেন, “রাজ্যের পুলিশ সহযোগিতা করছে।” তিনি জানান, লাউডস্পিকার বাজানোর আবেদন করলে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকার যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে তারও প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “সকলের সঙ্গে ন্যায় বিচার করছে মহারাষ্ট্র সরকার।”
প্রসঙ্গত, লাউডস্পিকারে আজান বাজানো নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। ৩ মে-র মধ্যে মসজিদ থেকে লাউস্পিকার সরানো না হলে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। বলেন, “হিন্দু ভাইরা তৈরি থাকুন। ৩ মে-এর পরেও যদি দেশের কোনও মসজিদে লাউডস্পিকার বাজে, তাহলে মসজিদের সামনেই আমরা লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা পড়ব।” রাজ ঠাকরের এমন উত্তপ্ত বাক্যবাণের পরেই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিল রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এবার থেকে রাজ্যে ধর্মীয়স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে। সোমবারই সেই নির্দেশিকা সমস্ত পুলিশ কমিশনার ও জেলা অধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয় ।
[আরও পড়ুন: এবার স্কুলেও ধর্মীয় শিক্ষা! পাঠক্রমে যোগ হচ্ছে রামায়ণ-মহাভারত-গীতা-কোরান]
এদিকে ওই দিন নাসিক পুলিশ একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকায় ধর্মীয়স্থানগুলিকে লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি নিতে হবে যেমন বলা হয়েছে, পাশাপাশি নাসিকের পুলিশ কমিশনার দীপক পাণ্ডে জানান, মসজিদের ১০০ মিটারের মধ্যে হনুমান চালিশা পাঠও নিষিদ্ধ। আজানের আগে ও পরে পনেরো মিনিটের মধ্যে হনুমান চালিশ পাঠ বা ভজনের অনুমতি দেওয়া হবে না।