সুকুমার সরকার, ঢাকা: কুমিল্লার পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন। পুলিশের দাবি, শুক্রবার কুমিল্লা পুলিশ লাইনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে কোরান রাখার অভিযোগ মেনে নেয়।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তির জের, ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত]
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির আহমেদ জানান, ধৃত ইকবাল তার অপরাধ স্বীকার করেছে। তবে কার নির্দেশে সে এই কাজটি করেছে, তা এখনও জানায়নি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইকবালকে। খবর পেয়ে রাতেই কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকারের নেতৃত্বে কুমিল্লা থেকে রওনা দেয় পুলিশের একটি টিম। শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পুজোমণ্ডপে কোরান রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দু’টি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মণ্ডপের আশপাশ-সহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ইকবালকে শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে, কুমিল্লা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা অত্যন্ত কড়া হাতে দমন করতে তৎপর শেখ হাসিনা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজে একাধিক ভিডিও বার্তায় এর কড়া নিন্দা করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবারও এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “অন্য ধর্মকে অবমাননার শিক্ষা ইসলাম দেয় না। কুমিল্লার ঘটনার বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাব, পবিত্র কোরান শরিফকে অবমাননা করা হয়েছে, অন্যের ধর্মকে অবমাননা করতে গিয়ে। এর ফলে শুধু অন্যের ধর্মকে অসম্মান নয়, নিজের ধর্মকেও হেয় করা হয়েছে।”