সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীপাবলি (Diwali) পালনে শামিল হলেন মুসলিম মহিলারাও। রোরখা-হিজাব পরেই ভগবান রামের উদ্দেশে বন্দনা গাইলেন। জানালেন, রামের আরাধনা করলে হিন্দু-মুসলিমের দূরত্ব ঘোচে। সেই সঙ্গে প্রকাশিত হয় ইসলামের উদারতাও। অভিনব এই দীপাবলি পালনের সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। হিন্দু মহিলাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দীপাবলির আরতি করলেন মুসলিম মহিলারাও।
বারাণসীর (Varanasi) এই সংকট মোচক মন্দিরে ২০০৬ সালে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। তার পর থেকেই এই মন্দিরে রামনবমী ও দীপাবলিতে আরতি করেন মুসলিম মহিলারা। ভগবান রামের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে পাঠ করেন হনুমান চল্লিশা। তাঁদের বার্তা, ভগবান রামই পারেন সমস্ত ধর্মীয় ভেদাভেদ দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। বর্তমান যুগের হানাহানির মধ্যে রামই পারেন মানুষকে ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে আনতে।
[আরও পড়ুন: কর্নাটকে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, বাড়িতে ঢুকে মা ও তিন সন্তানকে কুপিয়ে খুন!]
বেশ কয়েকজন মুসলিম মহিলা এই আরতিতে অংশ নিয়েছিলেন। গান গেয়ে তাঁরা বললেন, “অযোধ্যা আমাদের তীর্থস্থান, এখানে হিন্দের ইমাম শ্রীরাম রয়েছেন।” তাঁদের নেত্রী নাজনিন আনসারির মতে, “শ্রীরাম আমাদের পূর্বপুরুষ। নিজেদের নাম বা ধর্ম আমরা পালটে ফেলতেই পারি কিন্তু পূর্বপুরুষকে কীভাবে পালটাব? আমরা ভারতীয়, এই দেশের ঐতিহ্যকেই এগিয়ে নিয়ে যাব। মুসলিমরা যদি তাঁদের পূর্বপুরুষের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাঁদের সম্মান বাড়বে।
এদিন আরতিতে শামিল হয়েছিলেন নাজমা পারভিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে পিএইচডি করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এই আরতি আসলে বিশেষ বার্তা দেয়। সর্বধর্ম সমন্বয়ের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিতে চান মুসলিম মহিলারা। সমাজে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে একতা বাড়াবে এই কাশী, এমনটাই আশা তাঁদের।