shono
Advertisement

Breaking News

লাভ জেহাদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রির আগে আদালত চত্বরে মুসলিম যুবককে গণপিটুনি

আলিগড়ে তদন্ত শুরু।
Posted: 03:16 PM Dec 05, 2020Updated: 03:18 PM Dec 05, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু পরিচয় দিয়ে প্রেম। বিয়ে অবধিও গড়িয়েছিল সম্পর্কটা। আদালতে রেজিস্ট্রি করতে গিয়েই বিপত্তি। আসল ধর্ম প্রকাশ্যে এল হবু বরের। বিয়ের আগেই গণধোলাইয়ে রক্তাক্ত হল যুবক।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাব থেকে পালিয়ে এসেছিলেন ওই দম্পতি। যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে অপহরণের মামলা দায়ের হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ মহিলা কনস্টেবলের, কাঠগড়ায় ‌সাব ইন্সপেক্টর]

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, আলিগড় আদালতে আইনিভাবে বিয়ে করতে এসেছিলেন ওই যুবক-যুবতী। আবেদন করার পরই আদালত চত্বরে যুবককে বেধড়ক মারধর করে একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। অভিযোগ, মুসলিম ধর্মালম্বী ওই যুবক হিন্দু ধর্মালম্বী মেয়েটিকে বিয়ে করছিলেন।
এরপরই পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়া হয় মেয়েটিকেও।

প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটি জানিয়েছে, আটক যুবক নিজের নাম সনু বলে জানিয়েছিল। ছেলেটিকে হিন্দু জেনেই সে তাঁর সঙ্গে কথা বলত। পরে জানতে পারে ছেলেটি মুসলিম। তাঁরা পাঞ্জাব থেকে পালিয়ে এসেছে বলে খবর। এদিকে মাহালিতে মেয়েটিকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম সনু মালিক। তিনি হরিয়ানার আম্বালার বাসিন্দা। 

[আরও পড়ুন: ‘মানুষ মারতে ভাল লাগে’, ধরা পড়েও নির্লিপ্ত বিহারের সিরিয়াল কিলার]

উত্তরপ্রদেশের লাভ জেহাদ (Love Jehad) বিরোধী আইন পাস হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছেষ আবার আটকে গিয়েছে বিয়েও। যেমন গত বুধবার ছিল বিয়ের আসর উপস্থিত হন পুলিশকর্মীরা। বিয়েবাড়ির সকলকে উত্তরপ্রদেশে সদ্য পাস হওয়া নতুন আইন সম্পর্কে জানিয়ে তাদের থানায় যেতে বলা হয়। পরে থানায় গেলে দু’পক্ষকেই জানানো হয় এই বিয়ের জন্য আগে লখনউয়ের জেলাশাসকের অনুমতি নিতে হবে। এমন আবহে আলিগড়ের এই ঘটনা বিতর্ক তৈরি করেছে। 

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের (Yogi Adityanath) পেশ করা ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী অর্ডিন্যান্সে শনিবার সম্মতি দেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। এই আইনে অভিযুক্তের ৩ থেকে সর্বাধিক ১০ বছরের সাজা হতে পারে। নতুন এই আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন বিচারপতি মদন ল‌োকুর একে পছন্দের স্বাধীনতা কিংবা মানবাধিকার বিরোধী বলে তোপ দেগেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement