সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে পারবেন না মুসলিমরা। এক মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানাল এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। আদালতের বক্তব্য, বিশেষ করে সেই মুসলিমরা এমন সম্পর্কে থাকতে পারবেন না, যাঁদের ইতিমধ্যেই জীবনসঙ্গিনী রয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মুসলিমরা যে রীতি নীতি পালন করেন সেখানে তাঁদের লিভ ইন সম্পর্কের (Live in Relationship) অধিকার দেওয়া হয়নি।
এক হিন্দু মহিলাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অপহরণ মামলা খারিজ করার দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতে ওই মুসলিম ব্যক্তি দাবি জানান, তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। এক্ষেত্রে আদালত যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে সে জন্য অনুরোধ করেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি ওই সম্পর্ককে বৈধতা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়। এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি আতাউর মাসুদি ও বিচারপতি অজয় কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ‘ঘৃণা ভাষণে জবাব তলব করা হোক মোদিরই’, কমিশনকে দুষে হাই কোর্টে কংগ্রেস]
মামলার শুনানিতে স্পষ্ট ভাষায় আদালত জানায়, 'কোনও মুসলিম নাগরিকের বৈবাহিক অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে দুটি আইনের পর্যালোচনা করা হয়। তা হল, মুসলিম পার্সোনাল ল এবং সংবিধান অনুযায়ী তাঁর সাংবিধানিক অধিকার। ফলে এক্ষেত্রে ধর্মীয় রীতি নীতিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আদালত আগেই জানিয়েছে, সামাজিক, ধর্মীয় রীতিনীতি এবং সংসদে তৈরি হওয়া আইন সব কিছুকেই আমরা সমান গুরুত্ব দিই। ফলে যখন আমাদের সংবিধানে ধর্মীয় রীতি নীতি ও নানা প্রথা বৈধ আইনের মান্যতা পায়, তখন তার উপযুক্ত প্রয়োগ হওয়া উচিত।'
[আরও পড়ুন: এবার আহমেদনগরের নামবদল! মোদিকে পাশে নিয়ে ভোটপ্রচারে ঘোষণা ফড়ণবিসের]
এর পরই আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, 'মুসলিম সম্প্রদায়ের রীতি নীতি যদি এই ধরনের সম্পর্ককে মান্যতা না দেয় তাহলে তা আমরা কোনওভাবেই বৈধ বলতে পারি না। ফলে মুসলিমরা কেউ লিভ ইন সম্পর্কে থাকার দাবি করতে পারেন না। বিশেষ করে তখন, যখন সেই ব্যক্তির স্ত্রী জীবিত রয়েছেন।' পাশাপাশি এই মামলার তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি বিবাহিত এবং তাঁদের ৫ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। ওই ব্যক্তির স্ত্রীর কোনও আপত্তি নেই কোনও হিন্দু মহিলার সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রাখলে। যদিও, মুসলিম আইনকে মান্যতা দিয়ে ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করল আদালত।