সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পর্কের টানাপোড়েনে খুন নাকি আত্মহত্যা? রাজারহাট রোডের অভিজাত আবাসন থেকে বার ডান্সারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে জোর চাঞ্চল্য। তাঁর দেহে রয়েছে একাধিক আঘাতের দাগ। ওই বার ডান্সার ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। তাঁর লিভ ইন পার্টনারকে আটক করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
নিহত শ্বেতা রানি পাঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা। পেশায় বার ডান্সার। রাজারহাট রোডের বহুতল আবাসনে থাকতেন তিনি। সঙ্গে থাকতেন লিভ ইন পার্টনার মহেশপ্রসাদ জয়সওয়াল। শনিবার ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে বাগুইআটি ভিআইপি রোডের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান লিভ ইন পার্টনার। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। অভিযোগ, মৃত্যু সংবাদ পাওয়া পর হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাগুইআটি থানায় খবর দেয়। পুলিশ ওই যুবককে আটক করে।
[আরও পড়ুন: মুচিপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ রুখতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ! আহত এক আধিকারিক-সহ ৩ পুলিশকর্মী]
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছেন শ্বেতা। তবে পুলিশের দাবি, তরুণীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঠোঁট এবং হাতের তালুতে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। তাই খুনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ছ’বছর ধরে লিভ ইন করছেন দু’জনে। শ্বেতা অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বলেই সন্দেহ ছিল মহেশের। তার জেরে ঝগড়াঝাটি, অশান্তি লেগেই থাকত। আর সে কারণে যত দিন যাচ্ছিল শ্বেতা ও মহেশের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। সে কারণে শ্বেতা আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই দাবি মহেশের। যদিও খুনের পর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও এখনই উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তরুণীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।