সম্যক খান, মেদিনীপুর: ফের ল্যান্ডমাইন আতঙ্ক ছড়াল জঙ্গলমহলে। ফিরে এল সেই মাও উপদ্রবের স্মৃতি। বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির (Salboni) কালভার্টের নিচে সন্দেহজনক বস্তু উদ্ধার হয়। যা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা, ল্যান্ডমাইন রাখা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। খবর গিয়েছে বম্ব স্কোয়াডে।
লালগড় লাগোয়া শালবনির চাঁদাবিলা এলাকা। একসময় মাওবাদীদের স্বর্গরাজ্য ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিস্থিতি পাল্টেছে। মাও উপদ্রবে লাগাম পড়িয়েছে সরকার। আকাশে বারুদের বদলে গরম ভাতের গন্ধ পাওয়া যায় এখন। সেই লালগড় লাগোয়া এলাকাতেই ফের ফিরল মাও আতঙ্ক।
[আরও পড়ুন: ভালবাসাকেই স্বীকৃতি, সব বাধা পেরিয়ে আদালতেই চার হাত এক হল দম্পতির]
এদিন সকালে সেখানকার পিচ রাস্তার কালভার্টের নিচে সন্দেহজনক বস্তু পড়ে থাকতে দেখা যায়। যা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তাঁদের আশঙ্কা, সেখানে ল্যান্ডমাইন রাখা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, লম্বাটে পাইপের মতো বস্তু পড়ে রয়েছে রয়েছে কালভার্টের নিচে। সেখান থেকে দু’টি তার বেরিয়ে রয়েছে।
এর পরই খবর যায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়েই বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অম্লানকুসুম ঘোষ। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডে। তাঁরা এসে ওই সন্দেহজনক বস্তুটি উদ্ধার করবে। তখনই বোঝা যাবে জঙ্গলমহলে ফের ল্যান্ডমাইন রাখা হয়েছিল কি না।
প্রসঙ্গত, বুধবারই ঝড়গ্রামের (Jhargram) লালগড়ে উদ্ধার হয় মাওবাদী (Maoist) পোস্টার। গেরিলা সংগঠনের স্বাক্ষর রয়েছে তাতে। আরও উল্লেখ্য, প্রাক্তন মাওবাদী নেতা তথা তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছে পোস্টারগুলি।
[আরও পড়ুন: ভালবাসাকেই স্বীকৃতি, সব বাধা পেরিয়ে আদালতেই চার হাত এক হল দম্পতির]
এই পোস্টারগুলি যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরেই ছত্রধর মাহাতোর নতুন বাড়ি। তিনি এই মুহূর্তে জেলবন্দি। ফলে তাঁর সঙ্গে এই পোস্টারগুলির সম্পর্ক নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। যদিও ছত্রধরের স্ত্রী তথা জেলা মহিলা তৃণমূলের (TMC) সভানেত্রী নিয়তি মাহাতো এ নিয়ে বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন।