সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস কাণ্ডে (Hathras Horror) নতুন তথ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতিতার বাড়িতে এক সন্দেহজনক মহিলার গতিবিধির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। দলিত তরুণীর বউদি সেজে নাকি ওই মহিলা তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। ঘটনার নেপথ্যে নকশাল যোগের অভিযোগ উঠছে।
হাথরাস গণধর্ষণ (Hathras Gang Rape) কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার রাতে এই সংক্রান্ত একটি নোটিস জারি করে তা জানিয়ে দেয় কেন্দ্রের NDA সরকার। তার আগেই নির্যাতিতার বাড়ির সামনে সিসিটিভি লাগানোর বন্দোবস্ত করেছে পুলিশ। সাদা পোশাকেও পুলিশকর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে শোনা গিয়েছে।
কেন এত নিরপত্তা? শোনা গিয়েছে, এক মহিলার গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। বেশ কিছুদিন ধরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ছিলেন ওই মহিলা। তিনি নিজেকে স্থানীয় এক মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। নিজের নাম বলেছিলেন রাজকুমারী। মহিলা নাকি জানিয়েছিলেন তিনি জব্বলপুরের বাসিন্দা আর নির্যাতিতার পরিবারের আত্মীয়া হন।
[আরও পড়ুন: দিতে হবে না ইন্টারভিউ! কেন্দ্রের পথে হেঁটে সরকারি চাকরির নিয়োগে আমূল বদল ২৩ রাজ্যে]
সূত্রের খবর, পুলিশের অনুমান নির্যাতিতার পরিবারকে উসকানি দিচ্ছিলেন ওই মহিলা। মিডিয়ার কীভাবে দলিত কার্ড খেলতে হবে তাও নাকি শিখিয়ে দিচ্ছিলেন। নিজেও সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। ১৪ সেপ্টেম্বর দলিত তরুণীর নিগ্রহের ঘটনার পরও নাকি ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁর বাড়িতে দেখা গিয়েছিল ওই মহিলাকে। পরে পুলিশের সন্দেহের কথা টের পেয়ে নাকি তিনি উধাও হয়ে যান। পুলিশের অনুমান, মহিলা নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি হাথরাস মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন।
এর আগেই দলিত তরুণীর নির্যাতন ঘটনাকে শুধুমাত্র খুন আখ্যা দিয়েছিল যোগী (Yogi Adityanath) সরকারের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টে গণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এরপরই শনিবার ঘটনার তদন্তভারের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।