অর্ণব আইচ: ছাত্র সমাজের আরও এক নেতাকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ। প্রবীর দাস নামে নেতাকে বেহালা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট ৩ ছাত্র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হল। সায়ন লাহিড়ী ও শুভঙ্কর হালদারকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই তিনজনই সাংবাদিক সম্মেলন করে নবান্ন অভিযানের ডাক দেন।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই মিছিলে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ জনতার খণ্ডযুদ্ধে আহত প্রায় শতাধিক। কমপক্ষে ২৫ জন পুলিশ আহত। এক পুলিশকর্মীর চোখে আঘাত লেগেছে। ভবিষ্যতে তিনি দেখতে পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এই ঘটনার পিছনে তিন নেতার বড় ভূমিকা থাকার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র সমাজের অন্যতম প্রধান মুখ সায়ন ও শুভঙ্করকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এবার প্রবীর দাসকেও গ্রেপ্তার করা হল।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি, নন্দনকানন থেকে এল বাঘ-সিংহ-ভালুক]
এই গ্রেপ্তারি নিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, "এদেরকে কেন গ্রেপ্তার করা হল? এরা কি ইট মেরছে? প্ররোচনা দিয়েছিল? ওই ৩ জন ঘটনার দিন এসেছিল কিনা তাও জানা যায়নি। এরা হয়তো ডাক দিয়েছিল। সেই ডাকে মানুষ গিয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার, দুর্ভাগ্যজনক।"
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "মঙ্গলবার যে ঘটনা ঘটেছে, তা ছাত্রদের পক্ষেও অপমানজনক। অভিযানে ভাঙচুর হয়েছে। অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ,প্রশাসন তো ব্যবস্থা নেবেই। চরম বেআইনি কার্যকলাপ। এর দায়ভার তো নিতেই হবে।"