গৌতম ব্রহ্ম: আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর করম পুজো উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করল নবান্ন। ওইদিন সমস্ত সরকার ও সরকারপোষিত দপ্তর, স্কুল, কলেজ, পুরসভা, পঞ্চায়েতে ছুটি থাকবে। বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল অর্থদপ্তর। যেহেতু এই পুজোর নির্দিষ্ট দিন থাকে না তাই সরকারি ছুটির তালিকায় করম পুজোর কথা থাকে না। আলাদা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
তিথি মতে, পার্শ্ব একাদশীর দিন হয় করম পুজো। এই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয় দিন সাতেক আগে থেকে। কংসাবতী নদীর চর থেকে মাটি সংগ্রহ করে সেখানে নানা শস্যদানা রোপণ করেন মহিলারা। তার পর সেসব অঙ্কুরিত হয়। করম পুজোর দিন তা তুলে পুজো হয়, চলে নাচগান। কুড়মি ছাড়াও আদিবাসীরা সম্প্রদায়ের মানুষজন করম উৎসবে মেতে ওঠেন।
[আরও পড়ুন: ‘কীভাবে পারলেন?’, ‘রাত দখলে’ ঋতুপর্ণার হেনস্তার নিন্দায় সরব সুদীপ্তা]
আদিবাসী অধ্যুষিত ছোট নাগপুর মালভূমি এলাকায় হইহই করে পালিত হয় করম উৎসব। রাঢ় বাংলার পুরুলিয়া ছাড়াও সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, ছত্তিশগড়ের আদিবাসীরা এই উৎসব আনন্দের সঙ্গে করম পুজোয় মেতে ওঠেন। আর এই করম, ভাদু উৎসবের হাত ধরেই উমার আগমনি সূচিত হয় বঙ্গে। এক অর্থে করম শারদোৎসবের আমেজ এনে দেয়। গত বছর প্রথমবার করম পরবে পূর্ণ ছুটি ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।