shono
Advertisement

শিল্পের জন্য পতিত জমি ফেরানোর সময়সীমা বেঁধে দিল নবান্ন, বিকল্প কাজে লাগানোর ভাবনা

শিল্পের জন্য জমি নিয়ে লিজের শর্ত লঙ্ঘন করলে, জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
Posted: 09:50 AM Feb 07, 2023Updated: 09:53 AM Feb 07, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: শিল্পের (Industrial Land)জন‌্য নেওয়া জমিতে শিল্প না হলে তা আবার ফিরিয়ে নেবে সরকার। এটা আগেই জানানো হয়েছিল। এবার সময়সীমাও বেঁধে দিল নবান্ন। জানিয়ে দেওয়া হল, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পড়ে থাকা জমির সমীক্ষা করে তার মালিককে নোটিস ধরাবে ভূমি দপ্তর। পাশাপাশি তিনটি শিল্প এবং আর্থিক করিডর নিয়েও সোমবার মুখ‌্যসচিব (Chief Secretary) এইচ কে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়।

Advertisement

নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, রঘুনাথপুর-ডানকুনি, ডানকুনি-তাজপুর এবং ডানকুনি-কল্যাণী, এই তিনটি করিডরে তিন ধরনের জমি রয়েছে। বড় বড় জমিগুলিতে যে সব বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সরকারি সংস্থার জমি রয়েছে সেগুলিকে শিল্পের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ভূমি ও ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোটো উদ্যোগ শিল্প দপ্তরের সচিবরাও। সেখানে ঠিক হয়েছে, যদি কোনও সংস্থা বা শিল্পোদ্যোগী শিল্পের নামে কম দামে জমি নিয়ে সেই জমি ফেলে রাখে, তাহলে লিজের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে সেই জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেগুলিতে অন‌্য শিল্পস্থাপনের চেষ্টা করা হবে। তার উপযুক্ত না হলে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে তা কৃষিজমিতে রূপান্তরের চেষ্টা হবে।

[আরও পড়ুন: তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার পার, প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাহত উদ্ধারকাজ]

যে সব বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সরকারি সংস্থার বড় বড় জমি রয়েছে সেগুলিকে শিল্পের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। ছোট ছোট জমিগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হবে। বিশেষ করে যে সব জমির সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ রয়েছে, অথচ বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, পানীয় জলের ব‌্যবস্থা নেই, সেই জমিগুলিতে ছোট ছোট শিল্পতালুক গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। শিল্প করিডরে যেসব জমি রয়েছে সেগুলিকে নিয়ে মানচিত্র তৈরি হবে। এই মানচিত্রকে ভিত্তি করেই একটি পোর্টাল (Portal) তৈরি হবে। সেখানে শিল্প গড়তে যারা আগ্রহী হবেন তারা এই পোর্টালে গিয়ে নিজেদের পছন্দমতো জমি চিহ্নিত করতে পারবেন।

[আরও পড়ুন: আস্তাকুঁড় থেকে কানাডায়, ‘বাবা-মা’ খুঁজে পেল ঝাড়গ্রামের পিঁপড়েয় খুবলে খাওয়া খুদে]

এদিনের বৈঠকে তিনটে শিল্প এবং আর্থিক করিডর (Economic Corridor) কীভাবে গড়ে উঠবে এবং যে সব জমি শিল্পের জন্য উপযোগী নয়, তা নিয়ে কী করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, শিল্পের জন্য অনুপযুক্ত জমি ফিরিয়ে নিয়ে কৃষিজমিতে পরিণত করে পাট্টা দেওয়া হবে দরিদ্র কৃষকদের। রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে জোর দেবে। সেইমতো নদিয়ার কল্যাণী ও পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে শিল্পতালুক গড়ে উঠেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement