গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যজুড়ে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু (Dengue)। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মঙ্গলবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Hari Krishna Dwivedi)। ডেঙ্গু মোকাবিলায় হাসপাতালগুলিকে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলায় জেলায় পাঠানো হবে বিশেষজ্ঞ দল।
করোনার দাপট কমতেই রাজ্যজুড়ে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। তবে মূলত জোর দেওয়া হয়েছে কো-মর্বিডিটির উপর। অর্থাৎ হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ভরতি করা হলে প্রথমেই দেখতে হবে আক্রান্তের আর অন্য কোনও অসুস্থতা রয়েছে কি না। প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করতে হবে। সমস্ত হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ফিভার ক্লিনিক চালাতে হবে। প্রকোপ বেশি এমন এলাকার বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল যেমন পিজি, বেলেঘাটা আইডি, হাওড়া জেলা, শ্রীরামপুর জেলা হাসপাতাল, শিলিগুড়ি পুর হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে।
[আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের বৈঠক ইতিবাচক, ধর্মতলা আন্দোলন মঞ্চ থেকে ধরনা তুলছেন চাকরিপ্রার্থীরা]
এরপর পাশাপাশি আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চারপাশ যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। জল জমতে দেওয়া যাবে না। পর্যবেক্ষণের জন্য জেলায় জেলায় পাঠানো হবে বিশেষ দল। সেক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আশাকর্মীদের ১০০ শতাংশ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুরে দেখবেন কোথাও জঞ্জাল বা জল জমছে কি না। কারও বাড়িতে কেউ অসুস্থ কি না। টেস্ট বাড়াতে হবে। জ্বর দেখলেই পরীক্ষা করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে আট থেকে ১০ হাজার রক্তপরীক্ষা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু দমনে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ রোগ মোকাবিলায় অর্থ কোনও বাধা হবে না। সংক্রমণ কমলেও যেন কেউ গা ছাড়া মনোভাব না দেখায় সে বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।