গৌতম ব্রহ্ম: বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও থমথমে এগরার খাদিকুল। এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। এই ঘটনার পর সতর্ক রাজ্য। পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের ছ’দফা নির্দেশ পাঠাল নবান্ন।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক নবান্নের ৬ দফা নির্দেশ:
- বেআইনি বাজি তৈরির ব্যবসায় যুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা।
- বেআইনি বাজি কারখানায় নিয়মিত নজরদারি। বিস্ফোরক পেলেই বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
- বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রী নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নষ্ট করতে হবে।
- যাতে আর নতুন করে অসাধু ব্যবসায় যুক্ত হতে না পারেন তাই বেআইনি বাজি প্রস্তুতকারক সম্পর্কে সমস্ত তথ্য স্থানীয় থানাকেও জানিয়ে রাখতে হবে।
- বাজি কারখানায় সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দারাই কাজ করেন। তাই প্রয়োজন হলে তাঁদের পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকেই।
- স্থানীয় বাসিন্দাদের বেআইনি বাজি কারবারের অপকারিতা বুঝিয়ে বলতে হবে।
[আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠি মামলায় কীভাবে নাম জুড়ল অভিষেকের? জেনে নিন ঘটনাক্রম]
উল্লেখ্য, এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহারা খাদিকুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘড়ির কাঁটায় তখন বারোটা হবে। আচমকাই কান ফাটানো আওয়াজ কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বাজি কারখানা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে দেহ। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মতো মঙ্গলবার রাতে এগরার খাদিকুলে পৌঁছন সিআইডি আধিকারিকরা। এই ঘটনায় পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। সে বর্তমানে ওড়িশার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।