স্টাফ রিপোর্টার: কোনও অভিযোগ ফেলে রাখা যাবে না। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র মাধ্যমে যে অভিযোগগুলো আসছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার সামাধান করতে হবে। যদি সমাধান সম্ভব না হয়, তাহলে কেন তা সম্ভব নয়, বা তার সমাধানে কতদিন লাগবে তা অভিযোগকারীকে জানাতে হবে। তবে জোর দিতে হবে সমস্যার সমাধান করায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি নিয়ে সমস্ত দপ্তরের প্রধান এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই স্বরাষ্ট্রসচিব জেলাশাসকদের এই প্রকল্পটি আরও বেশি করে প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি যে অভিযোগের সমাধান হবে না, তা কেন হল না, সেই কারণ জানিয়ে সিএমও-তে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে প্রত্যেক বিভাগকে। প্রয়োজনে সিএমও থেকে জবাবদিহিও চাওয়া হতে পারে। প্রকল্পে যুক্ত আধিকারিকদের কিছু প্রশ্ন ছিল, সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া নিয়ে। তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়।
[আরও পড়ুন: সীমান্ত পেরিয়ে পুজোর আগেই বঙ্গে এল পদ্মার ইলিশ, কবে থেকে মিলবে বাজারে?]
নবান্নসূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব জেলাশাসকদের সামনে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নম্বরে আসা অভিযোগের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। গত কয়েকদিন ধরে রক্ত না পাওয়া, হাসপাতালে বেড না পাওয়ার মতো শতাধিক অভিযোগের ফোন এসেছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে। যদিও বেশিরভাগেরই সমাধান হয়েছে বলেই খবর। সেইসঙ্গে এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তা খারাপের প্রসঙ্গও। জেলায় জেলায় রাস্তার কী হাল তা নিয়ে এবার রিপোর্ট চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, পুজোর আগেই বেহাল রাস্তা মেরামতি করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।