গোবিন্দ রায়: নদিয়ার বৈরামপুরের শিবমন্দিরে প্রবেশ এবং গাজনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন তফসিলিরা। তাঁরা আদৌ অংশ নিতে পারছেন কিনা, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব জেলা জজকে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। নির্দেশ কার্যকর করতে হলে প্রয়োজনে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

বৈরামপুরের রজক বা ধোপা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের অভিযোগ ছিল তাঁদের স্থানীয় শিবমন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। কিংবা গাজনে অংশগ্রহণও করতে পারেন না তাঁরা। সে অধিকারের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। অবশেষে দাবিপূরণ। বিচারপতির নির্দেশ, সকলকে মন্দিরে প্রবেশ এবং গাজনে অংশ নিতে দিতে হবে। আদৌ তাঁরা অংশ নিতে পারছেন কিনা, সেদিকে নদিয়া জেলা জজকে নদর রাখতে হবে। উৎসব শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ৩ দিন অন্তর জেলা জজকে রিপোর্ট দেবেন কালীগঞ্জ থানার ওসি।
বিচারপতি জানান, তবে যদি কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তাতে নজরদারি বা পদক্ষেপ করার জন্য সরাসরি জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেবেন জেলা জজ। প্রয়োজনে পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেবেন জেলা জজ। এই প্রসঙ্গে উষ্মাপ্রকাশ করে বিচারপতি ঘোষ বলেন, "এমনিতে জেলা জজদের কথা শোনেন না পুলিশ সুপাররা।" যদিও হাই কোর্টের এই রায়ে খুশি রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশে এবং পুলিশের তৎপরতায় সমস্যা কেটে গিয়েছে বলেই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে।