সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে উদ্ধার কাড়ি কাড়ি নোট। বস্তাবন্দি অবস্থায় রাখা ছিল কোটি কোটি টাকা। অঙ্কটা কত, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে গোটা দেশের বিচারব্যবস্থাকে। এমনকী প্রশ্ন উঠছে কলেজিয়াম সিস্টেম নিয়েও।

এত টাকা কোথা থেকে এল? সদুত্তর নেই। বিচারপতি বর্মা বলছেন, ওই টাকা তাঁর নয়। কিন্তু তাঁর বাড়িতে এল কোথা থেকে? এবার বিচারপতি কোনও সদুত্তর দিতে পারছেন না। বিচারপতির আসনে থেকে সৎপথে যে ওই বিপুল টাকা জমানো সম্ভব নয়, সেটা সকলের জানা। কিন্তু কত টাকা জমানো সম্ভব? কত বেতন পান বিচারপতিরা?
সরকারি হিসাব বলছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, এই মুহূর্তে যে পদে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, তিনি বেতন হিসাবে পান প্রতিমাসে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এর বাইরে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসার খরচ, যাতায়াতের খরচ-সহ বেশ কিছু সুবিধা পান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। অবসরের পর পেনশন হিসাবে প্রধান বিচারপতি পান বার্ষিক ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। সুপ্রিম কোর্টের অন্য বিচারপতি আর হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা একই বেতন পান। তাঁদের মাসিক বেতন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বার্ষিক পেনশন ১৫ লক্ষ টাকা। বাকি সব সুযোগ সুবিধা তাঁরাও পান। হাই কোর্টের অন্য বিচারপতিদের মাসিক বেতন ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। সমস্তরকম ভাতা তাঁরাও পান। বার্ষিক পেনশন ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
অর্থাৎ বিচারপতিরা যে বেতন এবং সুযোগসুবিধা পান, তাতে স্বচ্ছ্বলভাবে তাঁদের সংসার চলে যেতেই পারে। কিন্তু ওই বেতনে আর যাই হোক কোটি কোটি টাকা সঞ্চয় করা সম্ভব নয়। তাহলে বিচারপতি বর্মার বাড়িতে এত টাকা কোথা থেকে এল? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।