সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ করাবেন বলে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন নাগপুরের (Nagpur) এক ব্যবসায়ী। মাঝপথে নিজের গাড়িতেই স্ত্রী, সন্তান ও নিজের গায়ে আগুন দিলেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ঋণে জর্জরিতে হয়েই পরিবার সমেত আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে।
ঘটনাটি নাগপুরের খাপারি পুনারাভাসান (Khapri Punarvasan) এলাকার। ভয়ংকর দৃশ্যের সাক্ষী হন সেখানকার স্থানীয়রা। দেখেন, রাস্তায় দাউ দাউ করে জ্বলছে একটি গাড়ি। গাড়িতে এক ব্যক্তির দেহ। আধপোড়া অবস্থায় গাড়িটির পাশেই পড়ে রয়েছেন এক মহিলা ও এক যুবক। পথ চলতি মানুষই পুলিশে খবর দেন।
[আরও পড়ুন: চিন-পাক সীমান্তের ১০০ কিমি পর্যন্ত নির্মাণে লাগবে না ছাড়পত্র, বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রকের]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নাম রামরাজ গোপালকৃষ্ণ ভাট (Ramraj Gopalkrishna Bhat। বয়স ৫৮। তিনি একজন ব্যবসায়ী। ঝলসানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ভাট (৫৫) ও ছেলে নন্দন ভাটকে (৩০)। পুলিশ রামরাজের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বাজারে প্রচুর দেনা করে ফেলেছিলেন তিনি। দেনা মেটাতে না পেরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
রামরাজ পরিকল্পিত আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও গোটা বিষয়টি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। এদিন হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ করাবেন বলে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে বাড়ি থেকে বোরোন তিনি। কিন্তু খাপারি পুনারাভাসান এলাকায় তুলনামূলক ফাঁকা জায়গায় পৌঁছতেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। এরপরেই পেট্রল ঢালতে শুরু করেন নিজের, স্ত্রীর ও ছেলের গায়ে। দ্রুত গাড়িতেও পেট্রল ঢালেন। স্ত্রী-ছেলে কিছু বোঝার আগেই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে গাড়ি।
[আরও পড়ুন: ‘পরার দরকার নেই, হাতে ব্রা নিয়ে বেরিয়ে যাও’, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জানালেন ছাত্রী]
মা ও ছেলে কোনওভাবে গাড়ি থেকে বেরোতে সক্ষম হয়। যদিও ততক্ষণ অনেকটাই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তাঁরা। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ । আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় রামরাজের। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।