সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে নাবালিকাকে পরিচারিকার কাজে রাখা। তার উপর ১২ বছরের সেই কিশোরীর উপর অকথ্য শারীরিক অত্যাচার চালানো। জোড়া অভিযোগে বিদ্ধ নাগপুরের এক আবাসনের দম্পতি। যে ঘটনার কথা সামনে আসতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনা নাগপুরের অথর্বনগরী সোসাইটির এক আবাসনের। বাড়ির দৈনন্দিন কাজকর্ম করানোর জন্য বছর তিনেক আগে বেঙ্গালুরু থেকে ১২ বছরের ওই কিশোরীকে আনা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কাজ করানোর পাশাপাশি তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হত। এক স্বেচ্ছাসেবী কর্মী শীতল পাতিলের দাবি, কাজে কোনওরকম ভুল হলেই ওই পরিবারের লোকেরা তাকে গরম তাওয়া দিয়ে মারধর করত। শুধু তাই নয়, কিশোরীর শরীরে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলায় বিদেশি লগ্নি টানতে স্পেনে মমতার সফরসঙ্গী হবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়]
মারধরের ভয়ে ওই কিশোরী কাউকে কিছু জানাতে পারেনি। কিন্তু সম্প্রতি তাকে চারদিনের জন্য ঘরের মধ্য়ে বন্দি করে ঘুরতে চলে গিয়েছিল ওই পরিবার। সেই সময় বিদ্যুতের বিল না মেটানোয় ওই বাড়ির কারেন্টও চলে গিয়েছিল। কোনওক্রমে জানলা থেকে আলো ফেলে প্রতিবেশীদের ওই কিশোরী জানায় যে সে সেখানে আটকে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। তারপরই জানা যায় তার শারীরিক নির্যাতনের কথা। দেহে অজস্র পোড়া দাগ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। মানসিক ট্রমা মধ্যে থাকা নাবালিকাকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে যান তাঁরা। খবর দেওয়া হয় থানায়।
হুড়কেশ্বর থানার পুলিশ বিক্রান্ত জানান, কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যাদের বাড়িতে ওই কিশোরী পরিচারিকার কাজ করত, সেই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিশোরীকে লেখাপড়া করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিভাবকের কাছ থেকে তাকে নিয়ে এসেছিল ওই দম্পতি।