সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ২৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। তাই রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পীঠস্থান নন্দন চত্বরে এখন থেকেই বেশ সাজো সাজো রব। চলচ্চিত্র উৎসবের আগে নবরুপে সেজে উঠছে নন্দন।
[আরও পড়ুন: মোদির ডাকে সাড়া দিলেন সিদ্ধার্থ, শুটিংয়ের মাঝেই কারগিলে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ অভিনেতার ]
তথ্য সংস্কৃতি ও পূর্ত দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প একমাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। সংস্কারের আগে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা সমীক্ষা করে একটি রিপোর্টও তৈরি করে ফেলেছেন। সংস্কারের পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহের বিদুৎ ব্যবস্থারও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। বস্তুত, দ্রুত সংস্কার অত্যন্ত জরুরি ছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ। পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের প্রস্তাব অনুযায়ী নন্দনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য বিষয়, নির্মানের পর থেকে এই নন্দন চত্বরে কোনও বড় মাপের সংস্কার হয়নি। তথ্য সংস্কৃতি ও পূর্ত দপ্তর যৌথ উদ্যোগে এই প্রেক্ষাগৃহের সংস্কার করবে। তথ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ‘নন্দন’ শব্দটি যে আদলে লেখা হয়েছিল তাও স্থির করে দিয়েছিলেন সত্যজিৎ স্বয়ং। দীর্ঘদিন ধরে ঝড়-জল-রোদে প্রেক্ষাগৃহের শরীরে বয়সের ছাপও পড়েছে। ভিতরের কয়েকটি জায়গায় চিড়ও ধরেছে হালকা। কিন্তু রজতজয়ন্তী বর্ষে চলচ্চিত্র উৎসবের আগেই এক্কেবারে ঝাঁ চকচকে লুকে ধরা দেবে শহরের সিনেমা-সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র নন্দন।
[আরও পড়ুন: বিয়ে ভাঙছে ‘সবিনয়ে নিবেদন’ জুটি সৌরভ-মধুমিতার ]
১৯৮৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত নন্দন প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন সত্যজিৎ রায়। সেই সময়ে উপস্থিত ছিলেন মৃনাল সেন-সহ চলচ্চিত্র জগতের দিকপালরা। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতির উৎকর্ষকেন্দ্র যদি হয় রবীন্দ্রসদন চত্বর। তবে নন্দন যে তার ভরকেন্দ্র, তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অন্যতম জনপ্রিয় প্রেক্ষাগৃহ নন্দন। প্রেক্ষাগৃহের নামকরনও করেছিলেন সত্যজিৎ। এমনকী, প্রেক্ষাগৃহের বহিরঙ্গের আদলও তাঁর নির্দেশে হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। প্রেক্ষাগৃহের বাইরে ফোয়ারা এবং আলোর ব্যবস্থা করা হয়।
The post কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের রজতজয়ন্তীতে নবরূপে নন্দন, চলছে জোর প্রস্তুতি appeared first on Sangbad Pratidin.