সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভ। আলোচনায় সরকার পক্ষের অনীহা। হট্টগোল, শাস্তি। সংসদের বাদল অধিবেশন এমন অনেক কিছুরই সাক্ষী থাকল। কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছুই হল না। যে কটা বিল পাশ হল, তাও আলোচনা ছাড়া। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্পিকার দু’দিন আগেই লোকসভা অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করে দিলেন। সেখানেই শেষ নয়, অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণার পর সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী-সহ সব দলের নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেছেন তিনি।
সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) কংগ্রেস সভানেত্রী হওয়ার পাশাপাশি কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রীও। শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে সদ্যই সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন তিনি। তবে সোনিয়ার অনুপস্থিতিতেও এতদিন সংসদে লাগাতার পেগাসাস ইস্যুতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। সঙ্গে ছিলেন অন্য বিরোধীরাও। যা নিয়ে এতদিন ধরে চাপানউতোর চলছিল শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে। মনে করা হচ্ছিল এই টানাপোড়েনের আঁচ স্পিকারের ঘরের এই বৈঠকেও পড়বে। কিন্তু তেমনটা হল না। এদিন বেশ সৌহার্দ্যের পরিবেশেই দুই শিবিরের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর। সরকার পক্ষের তরফে এদিনের বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। এছাড়াও TMC, BJD, আকালি দল, ওয়াইএসআর কংগ্রেস-সহ কয়েকটি দলের প্রতিনিধি এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: সংরক্ষণের কট্টর সমর্থক RSS, অবস্থান স্পষ্ট করলেন Narendra Modi ঘনিষ্ঠ সংঘ নেতা]
সৌহার্দ্যের পরিবেশে বৈঠক হলেও তারপরই অবশ্য প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) বলছেন,”এই প্রথম এবারের অধিবেশনে আমি প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেলাম। সবকিছু যখন শেষ হয়ে গেল, তখন উনি এসে দেখা দিলেন। সরকার সব বিল আলোচনা ছাড়াই পাশ করাচ্ছে। একমাত্র OBC বিল ছাড়া অন্য কোনও বিল নিয়ে আলোচনাই হয়নি। বাকি বিলগুলি পাশ হয়েছে কয়েক মিনিটের মধ্যে। এটাও এই সরকারের রেকর্ড।”