সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত (India)। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের তালিকায় নেই তারা। তাহলে তো রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে! ফ্রান্স সফরের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবারই ফ্রান্সে (France) পৌঁছবেন তিনি। শুক্রবার বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে তিনিই প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। তার আগেই নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations Security Council) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে জোর সওয়াল করলেন মোদি।
দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। এবার সরাসরি এই প্রসঙ্গে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের জনবহুল দেশ ভারত। অথচ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নেই। এখানেই প্রশ্ন থেকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের দাবি, গোটা বিশ্বের হয়েই তারা কথা বলে। কিন্তু সেখানে যদি বিশ্বের জনবহুল দেশটিই না থাকে, তাহলে কি এই দাবিকে যুক্তিসঙ্গত বলা যায়? শুধু বিশ্বাসযোগ্যতা নয়, আরও বড় প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্রসংঘের এহেন আচরণে।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ৫১ শতাংশের মানুষের সমর্থন তৃণমূলে, দ্বিতীয় স্থানে বিজেপিকে টক্কর বাম-কংগ্রেস জোটের]
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র রয়েছে ভারতে। সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও ভারতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে পেরেছি। বৈচিত্র্যের মধ্যেও ঐক্য বজায় রাখা যায়, সেটাই দেখাতে পারে ভারত। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগ্য স্থান দিতে হবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে।”
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও খামতি রয়েছে বলে মত প্রধানমন্ত্রীর। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বিশ্বের নানা পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য থাকে না সদস্য দেশগুলির কাছে। তার ফলেই বর্তমানের অনেক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। তবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কী ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার, আমার মনে হয় সব দেশেরই সেই নিয়ে পরিষ্কার একটা ধারণা আছে। আগামী দিনে রাষ্ট্রসংঘে ভারত কী ভূমিকা পালন করবে, সেই নিয়েও অন্যান্য রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে।”