সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিন বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে ইন্দিরা সরকারের জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অতীতের সেই কালো দিনের ৪৯ তম বর্ষপূর্তীতে এবার সোশাল মিডিয়ায় কংগ্রেসকে নিশানায় নিলেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি সেই সময় কংগ্রেস সরকারের আনা জরুরি অবস্থার যারা বিরোধিতা করেছিলেন তাঁদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। লিখলেন, 'দেশের সংবিধানকে পদদলিত করেছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ভালোবাসা দেখানোর কোনও অধিকার নেই ওদের।'
জরুরি অবস্থার ৪৯ তম বর্ষপূর্তিতে কংগ্রেসকে নিশানায় নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, 'জরুরি অবস্থার কালো অতীত আমাদের স্মরণ করায় কীভাবে কংগ্রেস দল দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারকে কেড়ে নিয়েছিল। যে সংবিধানকে দেশবাসী সম্মান করে তাকে পদদলিত করা হয়েছিল।' পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, 'শুধুমাত্র ক্ষমতা আকড়ে থাকার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে কার্যত মুছে দিয়ে গোটা দেশকে এক কারাগারে পরিণত করেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে একমত না হওয়া প্রতিটি ব্যক্তিকে ভয়ংকর রকম নির্যাতন ও হয়রানি চালায় তৎকালীন সরকার।'
[আরও পড়ুন: অতিশীর পাশে সাগরিকা-মহুয়ারা, AAP মন্ত্রীর অনশনে TMC প্রতিনিধি দল]
কংগ্রেসকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যারা এক সময় জরুরি অবস্থা জারি করেছিল তাঁদের কোনও অধিকার নেই সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর। এরা সেই ব্যক্তি যারা অসংখ্যবার ৩৫৬ ধারা জারি করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে বিল পাশ করেছে, সংবিধানকে ধ্বংস করেছে এবং মানুষের অধিকারের প্রতিটি জায়গাকে এরা নষ্ট করেছে।' প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, জরুরি অবস্থা জারি করা কংগ্রেস দলের মধ্যে অতীতের সেই মানসিকতা আজও জীবন্ত। বর্তমানে এরা মুখোশ পরে থাকলেও জনগণ এঁদের বিদ্বেষ দেখেছে এবং সেই কারণে মানুষ এঁদের বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে।
[আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ছাদ চুঁইয়ে জল, টর্চ জ্বেলে রামলালার আরতি! বেহাল দশায় রামমন্দির বন্ধ হওয়ার জোগাড়]
উল্লেখ্য, সোমবার সংসদে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমার্জেন্সির কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মোদি। তিনি বলেছিলেন, ”সংসদকে যাঁরা সম্মান করেন, তাঁরা দিনটি ভুলতে পারবেন না। ২৫ জুন সংবিধানের যে কালো দাগ লেগেছিল, তার ৫০ বছর পূরণ হবে আগামিকাল।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা গৌরবের সঙ্গে সংবিধানকে রক্ষা করতে পেরেছি। দেশবাসী সংকল্প নেবে যে ভবিষ্যতে কেউ আর এই কালো দিন আনার সাহস দেখাতে পারবে না। আমরা জনগণের স্বপ্ন পূরণে সংকল্পবদ্ধ।” যদিও মোদির মন্তব্যের পালটা কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “৫০ বছর পুরনো এমারজেন্সি নিয়ে কথা বলছেন আপনি, ভুলে গেলেন গত ১০ বছর ধরে যে অঘোষিত এমারজেন্সি চলছে!” কৌশলী বিরোধী নেতা আরও বলেন, “গোটা দেশ চায় পরীক্ষা দুর্নীতি, পশ্চিমবঙ্গের রেল দুর্ঘটনা এবং মণিপুরের হিংসা নিয়ে কথা বলুন প্রধানমন্ত্রী।”