সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই ডুবে যাচ্ছে যোশিমঠ (Joshimath Disaster)। ফাটল ধরায় একের পর এক বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। বসতি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এহেন পরিস্থিতিতে বদ্রীনাথ মন্দিরের বিপুল ধন সম্পদ কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। যেভাবে একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরছে, তাতে যোশিমঠের নরসিং মন্দিরের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ মাত্র আধ কিলোমিটার দূরত্বে জেপি কলোনিতে একাধিক বাড়ি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বদ্রীনাথের বিষ্ণুদেবকে বর্তমানে যোশিমঠের নরসিং মন্দিরে (Narsingh Temple) পুজো করা হয়। কারণ শীতকালে বন্ধ করে দেওয়া হয় বদ্রীনাথ মন্দির। বিষ্ণুদেবের বিগ্রহের সঙ্গে যাবতীয় বহুমূল্য দ্রব্য যোশিমঠে নামিয়ে আনা হয়। তার মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদের একটি মুকুট। একাধিক বহুমুল্য রত্নের পাশাপাশি একটি হিরেও বসানো রয়েছে ওই মুকুটে। একশো বছরেরও বেশি পুরোন একাধিক সোনার মুকুট রয়েছে ওই মন্দিরে।
[আরও পড়ুন: বন্ধুর বোনকে বিরক্ত করায় সহপাঠীকে মার! বিজেপি নেতার ছেলের দাদাগিরিতে বিতর্ক তেলেঙ্গানায়]
এছাড়াও পুজোর কাজে ব্যবহৃত জিনিসের মধ্যে হিরের মালা, রুপোর বাসনপত্র, সোনার কয়েনের মতো মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে। বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান অজেন্দ্র অজয় বলেছেন, “নরসিং মন্দির বা আশেপাশে এখনও ফাটল ধরেনি। কিন্তু বিপদের কথা মাথায় রেখে দামি জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেছি আমরা। পিপালকোটির একটি অতিথিশালায় আপাতত সমস্ত জিনিস রাখা হবে। পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পান্ডুকেশ্বরেও মূল্যবান সামগ্রী রাখা যেতে পারে। তবে আপাতত মন্দিরের মধ্যেই রাখা হবে এই সামগ্রী। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যেন মন্দিরে কোনওরকম বিপদ না হয়।” প্রসঙ্গত, মন্দিরের সামগ্রীর মধ্যে প্রায় ৪৫ কেজি সোনা ও ৩৫ কেজি রুপোর জিনিস রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ধসের সঙ্গে ভূমিকম্পেও কেঁপে উঠছে এই ছোট্ট পাহাড়ি জনপদটি। এহেন পরিস্থিতিতে যোশিমঠের (Joshimath) বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে ক্যাবিনেট বৈঠকে বসে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারগুলির কোনও ঋণ থাকলে আগামী ১ বছর তা শোধ করতে হবে না। পাশাপাশি ইলেকট্রিক বিল ও জলের বিলেও ৬ মাস পর্যন্ত মিলবে বিপুল ছাড়। তবে যোশিমঠকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানো যাবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তর অধরাই।