সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালগ্রহে (Mars) ‘ভূমিকম্প’! জটায়ু থাকলে হয়তো এই নামে কোনও গোয়েন্দা উপন্যাস লিখে বসতেন। কিন্তু নাসা সত্য়িই মঙ্গলের মাটি কেঁপে ওঠার সন্ধান পেয়েছে। আর মঙ্গলপৃষ্ঠের সেই কম্পন রীতিমতো দীর্ঘস্থায়ী। রিখটার স্কেলে ৪.২ মাত্রার সেই কম্পন চলেছে প্রায় আধঘণ্টা ধরে! এক মাসে তিনবার।
গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের মাটিতে নেমেছে নাসার ‘পারসিভিয়ারেন্স’। এবার নাসার রোভার ‘ইনসাইট’মঙ্গলের মাটিতে অভিযান চালিয়ে সন্ধান পেল ভূমিকম্পের। গত ১৮ সেপ্টেম্বর টের পাওয়া যায় প্রবল বেগে কাঁপছে মঙ্গলের মাটি। এই নিয়ে গত এক মাসে তিনবার বড়সড় কম্পনের সন্ধান মিলল মঙ্গলে। গত ২৫ আগস্টে দু’বার থরথর করে কেঁপে ওঠে লালগ্রহ। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪.২ ও ৪.১। কিন্তু এবারের কম্পন ছিল অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী।
[আরও পড়ুন: কবে থেকে পোশাক পরা শুরু করল আদিম মানুষ? অবশেষে মিলল উত্তর]
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কম্পনের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার কিলোমিটার দূরে ছিল ‘ইনসাইট’। সেখান থেকেই সে অনায়াসে কম্পনের নাড়িনক্ষত্র ধরতে পেরেছে। মঙ্গলের মাটিতে কম্পনকে ভূমিকম্প বলা যাবে না। এককথায় বলা যায় মঙ্গলকম্প বা ‘মার্সকোয়েক’।
গত কয়েক মাস ধরেই মঙ্গলের মাটি তন্নতন্ন করে ঘুরে বেড়িয়েছে নাসা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মঙ্গলের মাটি, আকাশ ও অন্যান্য অঞ্চল খতিয়ে দেখে লালগ্রহের স্বরূপ ভাল করে চিনতে চাইছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইতিমধ্যেই মঙ্গলের আকাশে হেলিকপ্টার ওড়ানোর মতো নানা কীর্তি করেছে তারা। আশা করা হচ্ছে, পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে এর সাহায্যে।
এদিকে গত মে মাসে মঙ্গলে এসে নেমেছে চিনের মঙ্গলযান তিয়ানওয়েন-১-এর জুরং নামের রোভার। তারাও সৌরজগতের চার নম্বর গ্রহের আবহাওয়া, মাটি থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। অন্তত ৯০টি মঙ্গল দিবসে সেখানে ঘুরে বেড়াবে জুরং। এই দীর্ঘ সময়ে নানা নমুনা সংগ্রহ করবে সেটি।