সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবী থেকে সাত মাসব্যাপী যাত্রার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গল গ্রহের মাটি ছুঁল ‘পারসিভিয়ারেন্স’ (Perseverance)। শুধু তাই নয়, শুক্রবার অবতরণের পরই লালগ্রহের প্রথম ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছে নাসার মার্স রোভারটি। পাশাপাশি, গ্রহটিতে প্রাণের সন্ধান শুরু করেছে যানটি।
[আরও পড়ুন: অসাধ্য সাধন! অতিকায় ম্যামথের দাঁত থেকে উদ্ধার পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো DNA]
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘মার্স রোভার পারসিভিয়ারেন্স’ আদপে একটি স্পেস ক্যাপসুলের ভিতরে পুরে দেওয়া রোবোটিক অ্যাস্ট্রো-বায়োলজি গবেষণাগার। ছ’চাকার রোভার মঙ্গলের আকাশ থেকে মাটিতে নামতে সময় নিয়েছে সাত মিনিট। আর অবতরণের আগের এই ‘বিপজ্জনক’৪২০ সেকেন্ড নিয়েই চিন্তায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা। যদিও তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারে নেমেছে ‘পারসিভিয়ারেন্স’। এই খবর নিশ্চিত করেছেন নাসার মঙ্গল অভিযানের প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী স্বাতী মোহন। এদিন, লস অ্যাঞ্জেলেসের জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরিতে (জেপিএল) উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিজ্ঞানীরা। কারণ, রোভারটি যেখানে নেমেছে সেখানে বেশ কয়েক কোটি বছর আগে কোনও সুবিশাল আগ্নেয়গিরির অস্তিত্বের জন্য বিশালাকার গর্ত বা ক্রেটার তৈরি হয়েছিল। গোটা এলাকাই পাথুরে, এবড়োখেবড়ো এবং উঁচু উঁচু পাহাড়ে ভরতি। তাই সেখানে সফল অবতরণ নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু সমস্ত বাধা পার করেছে ‘পারসিভিয়ারেন্স’। ইতিমধ্যে লালগ্রহের ছবিও পাঠিয়ে দিয়েছে রোভারটি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মহাকাশযান ‘আমাল’ ঢুকে পড়ে মঙ্গলের কক্ষপথে। বুধবার লালগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে চিনা মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-১ (Tianwen-1 )। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশ অভিযানে অনেকগুলো মাইল ফলক ছুঁতে চায় বেজিং। সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিযানের প্রথম ধাপ এদিন পেরিয়ে গেল তারা। আগামী মে মাস পর্যন্ত সেটি চক্কর কাটবে কক্ষপথে। তারপরে রোভার আলাদা হয়ে গ্রহটির পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানে জীবনের চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করবে। কিন্তু মঙ্গলজয়ের দৌড়ে জয়ী হয়েছে আমেরিকা।