সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৭ বছর আগে পৃথিবী ছেড়েছিল সে। এক দশক আগেই চলে গিয়েছিল সূর্যের নাগালের বাইরে। এবার দেড় হাজার কোটি মাইল দূর থেকে সংকেত পাঠাল নাসার মহাকাশযান ভয়েজার-১ (Voyager-1)। বর্তমানে সেটি রয়েছে ইন্টারস্টেলার স্পেসে। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে তথ্য পাঠানো বন্ধ করেছিল ভয়েজার। অবশেষে ফের বার্তা পাঠানো শুরু করল সে।
১৯৭৭ সালে পৃথিবী ছাড়লেও এখনও কর্মক্ষম ভয়েজার-১। এই মহাকাশযানই পৃথিবী থেকে মহাকাশে পাঠানো দূরতম বস্তু। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর থেকে সেই অর্থে সাড়া দিচ্ছিল না ভয়েজার। পাঠাচ্ছিল অর্থহীন তথ্য। তবে পৃথিবী থেকে পাঠানো সংকেত কিন্তু দিব্যি 'রিসিভ' করছিল যানটি। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল নাসার বিজ্ঞানীদের কপালে। তাঁরা খুঁজতে শুরু করেছিলেন ভয়েজারের 'অসুখ'। অবশেষে গত মার্চে মেলে হদিশ। নাসার (NASA) জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি আবিষ্কার করে একটি মাত্র চিপেই রয়েথে গোলমাল। অবশেষে সেটিকে সারানো গিয়েছে। ৪৬ বছরের পুরনো কম্পিউটার সিস্টেমটি এখনও যে দিব্যি কাজ করতে সক্ষম তা সে বুঝিয়ে দিল নতুন করে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, 'ভয়েজার ১ মহাকাশযান অর্থপূর্ণ তথ্য পাঠানো শুরু করেছে। এবার আশা, শিগগিরি বৈজ্ঞানিক তথ্যও সে পাঠাতে শুরু করবে।'
[আরও পড়ুন: কত টাকায় লড়েছিলেন জীবনের প্রথম মামলা? গোপন তথ্য ফাঁস প্রধান বিচারপতির]
প্রসঙ্গত, ভয়েজার-১ ছাড়াও তার পাঁচ বছর পরে ভয়েজার-২ যাত্রা শুরু করেছিল। ২০১৮ সালে সেটিও সৌরজগতের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। দুটি যানেই রয়েছে সোনার রেকর্ড। ১২ ইঞ্চির ওই রেকর্ডে রয়েছে সৌরজগতের মানচিত্র। রয়েছে এক খণ্ড ইউরেনিয়াম যার মধ্যে রয়েছে তেজস্ক্রিয় ঘড়ি। যে ঘড়ি দেখলে এটির উৎক্ষেপণের সময়টা জানা যাবে। ২০২৫ সালের কোনও একসময় কিন্তু চিরতরে কাজ করা বন্ধ করে ভয়েজারের পাওয়ার ব্যাংক। তবে তখনও এর যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আকাশগঙ্গার পেট চিরে এগিয়ে চলবে মানুষের তৈরি স্বপ্নযান।