সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবসাদে ভুগছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ। আর এই অবসাদের কারণ একটাই, তাহল মোদির মন্ত্রিসভা! হ্যাঁ, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন নাসির। তাঁর কথায়, ''মন্ত্রিসভা দেখেই বোঝা যায়, ওদের মনে মুসলিমদের প্রতি কতটা ঘৃণা রয়েছে।''
ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক বরং। তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রাথমিক ভাবে গঠিত হয়েছে মন্ত্রিসভা। কিন্তু দেশের ইতিহাসে এই প্রথম যে সেই মন্ত্রিসভায় নেই কোনও মুসলিম প্রতিনিধি। আর এই নিয়ে একটু হতাশ বলিউড অভিনেতা।
নাসিরের কথায়, ‘‘বিষয়টা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার মতোই। কিন্তু কোনও ভাবেই আমায় অবাক করেনি। মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা অন্তরে। শিরায় শিরায়।’’
নাসিরুউদ্দিন এর পরে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন, ‘‘হামিদ আনসারি বলেছিলেন, দেশের মুসলিম নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করে। আমাদের বুঝতে হবে যে, একা হিন্দু বা একা মুসলিম কিছুই করতে পারবে। যা করার, আমাদের একসঙ্গে করতে হবে।’’
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দূষণমুক্তিতে দ্বিতীয় কলকাতা, নিন্দুকদের তোপ ফিরহাদের]
মোদি-৩ মন্ত্রিসভায় রবিবার শপথগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ৭২ জন মন্ত্রী। এই তালিকায় ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ৫ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। সোমবার প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকের পর প্রকাশ্যে এল কে পেয়েছেন কোন মন্ত্রক। এই তালিকায় পুরানো মন্ত্রীদের উপর আস্থা রাখার পাশাপাশি নতুন মুখদের দেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। প্রথমবার মন্ত্রী হওয়া বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব সঁপলেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংকে দেওয়া হল কৃষিমন্ত্রকের দায়িত্ব।
স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক পুরানোদের হাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বাকি মন্ত্রকের বেশিরভাগটাই পুরানোদের হাতে ছাড়ার ঝুঁকি নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন মন্ত্রক পেলেন মোদি মন্ত্রিসভায় নতুন মুখেরা।
পূর্ণমন্ত্রী
জেপি নাড্ডা (বিজেপি): স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
শিবরাজ সিং চৌহান (বিজেপি): পঞ্চায়েত আর গ্রামীণ উন্নয়নের পাশাপাশি পেলেন কৃষি মন্ত্রকও।
মনোহরলাল খাট্টার (বিজেপি): বিদ্যুৎ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক।
এইচডি কুমারস্বামী (জেডিএস): ভারী শিল্প ও ইস্পাত মন্ত্রক।
জিতেনরাম মাঝি (হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা): ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রক।
রাম মোহন নায়ডু (টিডিপি): অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
চিরাগ পাসওয়ান (এলজেপি): খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক।
অন্নপূর্ণা দেবী (বিজেপি): নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক।
জুয়েল ওরাওঁ (বিজেপি): অনগ্রসর জাতি কল্যাণ মন্ত্রক।
লালন সিং (জেডিইউ): পঞ্চায়েত, ফিসারি ও পশুমন্ত্রক।
প্রতিমন্ত্রী
অজয় টামটা (বিজেপি): সড়ক পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
সুরেশ গোপি (বিজেপি): পেট্রলিয়াম গ্যাস এবং সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী।
সুকান্ত মজুমদার (বিজেপি): শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী।
সঞ্জয় কুমার (বিজেপি): স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
রামনাথ ঠাকুর (জেডিইউ): কৃষি প্রতিমন্ত্রী।
প্রতাপ রাও যাদব (শিবসেনা শিণ্ডে): স্বাস্থ্যমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী।
ভি সোমান্না (বিজেপি): জলশক্তি ও রেল প্রতিমন্ত্রী।
রাভনিত সিং বিট্টু (বিজেপি): খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং রেল প্রতিমন্ত্রী।
জিতিন প্রসাদ (বিজেপি): বাণিজ্য ও শিল্প এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
হর্ষ মালহোত্রা (বিজেপি): পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী।
জয়ন্ত চৌধুরী (আরএলডি): শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।