সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সতীত্বের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি স্ত্রী। তাই ‘শাস্তি’ হিসাবে বউকে ত্যাগ করলেন স্বামী। না, কোনও সিনেমার স্ক্রিপ্ট নয় এটি। মধ্যযুগীয় কোনও ঘটনাও নয়। খোদ ভারতেই এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
চলতি বছর মে মাসের ২২ তারিখ বিয়ে করেছিলেন নাসিকের এক যুবক। গ্রামের খাপ পঞ্চায়েতের তরফে তাঁকে তাঁর স্ত্রী’র সতীত্ব পরীক্ষার উপদেশ দেওয়া হয়। তাঁকে বলা হয়, ফুলশয্যার রাতে তিনি যেন সাদা চাদর পাতেন নিজেদের বিছানায়।
ফুলশয্যার পর যুবক যাতে সেই চাদর পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেন, এই নির্দেশও দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে।
এরপর সতীত্বের পরীক্ষায় ফেল করেন নববধূ। অন্তত এমনটাই অভিযোগ যুবক এবং পঞ্চায়েতের। ফুলশয্যার রাতে যৌনতার সময় নববধূর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হয়নি। আর তাই না কি প্রমাণ করে নববধূ সতীত্ব হারিয়েছেন বিয়ের আগেই। এই অভিযোগেই বিয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চায়েতের পরামর্শে স্ত্রী-কে ত্যাগ করলেন যুবক।
ওই এলাকার সমাজসেবি রঞ্জনা গাভান্দে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বিয়ের আগে ওই যুবতী পুলিশে চাকরির চেষ্টা করছিলেন। সেই চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে নানাবিধ শারীরিক কসরতের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দৌড়, হাইজাম্প, লংজাম্প ইত্যাদি দৈনিক চর্চা করতে হয়। আর তাই ওই যুবতীও এই খেলাধুলা নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন।”
সমাজসেবকদের দাবি, এমনও হতে পারে যে শরীরচর্চার ফলেই ওই যুবতীর সতীচ্ছদ নষ্ট হয়েছে! এর জন্য তাঁর সতীত্ব নিয়ে টানাটানি করা কিংবা তাঁর চরিত্র সম্পর্কে অপবাদ দেওয়াকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা!
যদিও এই সমস্যার সমাধান কী হবে তা এখনও বলতে পারছেন না কেউ।
The post ‘সতীত্ব’ হারিয়েছে স্ত্রী, ফুলশয্যাতেই বিচ্ছেদ দম্পতির! appeared first on Sangbad Pratidin.