সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তফসিলি কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশনের পর এবার সন্দেশখালিতে আসছে জাতীয় আদিবাসী কমিশন (ST Commission)। বুধবার সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ওই কমিশনের তরফে। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবারই তাঁদের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যে আসবে বলে আদিবাসী কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
বস্তুত সন্দেশখালি নিয়ে একযোগে রাজ্যের শাসকদলের উপর চাপ বাড়ানোর পন্থা নিয়েছে কেন্দ্র সরকার এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রের তরফে আসা জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন আগেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছিল। মহিলা কমিশনও রাষ্ট্রপতির কাছে কড়া রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এবার আসছে আদিবাসী কমিশনও। রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি লিখে জাতীয় আদিবাসী কমিশন চিঠি লিখে জানিয়েছে, সন্দেশখালিতে আদিবাসীদের কী পরিস্থিতি, তার একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তিনদিনের মধ্যে দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন দীপিকা পাড়ুকোন! কত মাসের অন্তঃসত্ত্বা রণবীর ঘরনি?]
১৫ ফেব্রুয়ারি উত্তর সন্দেশখালি গিয়েছিল জাতীয় তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। আবার গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মা (Rekha Sharma)। দুই ক্ষেত্রেই রাজ্যের তরফে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে। আদিবাসী কমিশন অবশ্য আগেই রাজ্যকে চিঠি লিখে সহযোগিতা কামনা করেছে। তাছাড়া সন্দেশখালিতে ওঠে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সবটাই জানতে চায় আদিবাসী কমিশন।
[আরও পড়ুন: তিন সেনাকর্তাকে ফাঁসির সাজা মায়ানমারে! কেন এই পদক্ষেপ জুন্টার?]
এদিকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে সুর আরও চড়াচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে দিল্লির সদর দপ্তরে বসে বিজেপি নেতা রবিশংকর প্রসাদ বলে গেলেন, “সভ্য সমাজে লজ্জাজনক ঘটনার নিকৃষ্টতম উদাহরণ সন্দেশখালি। কোথায় গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবেক? কী লুকোতে চাইছেন তিনি? কী আড়াল করতে চাইছেন তিনি?” শুধু তৃণমূল নয়, একই সঙ্গে কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, “রাহুল গান্ধী সবকিছু নিয়ে মন্তব্য করেন এখানে চুপ কেন? সন্দেশখালি নিয়ে নীরবতা বিরোধীদের দ্বিচারিতার প্রমাণ।”