সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৩৭০ ধারা বাতিল-বিরোধী মামলাগুলির শুনানি চলছে। অন্যতম মামলাকারী ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা মহম্মদ আকবর লোন। যদিও লোনের মামলা গ্রহণের আগে তাঁকে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধানের উপর আস্থা জানিয়ে হলফনামা দিতে বলল শীর্ষ আদালত। যেহেতু অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, ওই ভুলের জন্য তাঁকে লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে।
মহম্মদ আকবর লোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০২-২০১৮ সালে তিনি বিধায়ক থাকাকালীন জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়েছিলেন। সোমবার আইনজীবী কপিল সিব্বাল ৩৭০ ধারা বাতিল বিরোধী মামলার শুনানিতে বলেন, ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা লোন ক্ষমা চেয়ে আদালত হলফনামা দেওয়ার পরেই তাঁর হয়ে মামলা লড়বেন, নচেত নয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ লোনকে নির্দেশ দিয়েছে, হলফনামায় নেতাকে জানাতে হবে, ভারতের সংবিধান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বভৌত্বের প্রতি তিনি আস্থাশীল। মঙ্গলবারের মধ্যে হলফনামা চাইতে বলা হয়েছে লোনকে।
[আরও পড়ুন: ধূপগুড়ি উপনির্বাচন: জঙ্গল এলাকায় ভোটে ভয় ধরাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা, বাড়তি সতর্ক কমিশন]
সোমবার শুনানিতে সিবাল বলেন, “তিনি লোকসভার সাংসদ। ভারতের নাগরিক। দেশের সংবিধান অনুসারে শপথ নিয়েছেন। অর্থাৎ ভারতের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করেছেন।” তার পাকিস্তানপন্থী স্লোগান মেনে নেওয়া যায় না। অতএব, ক্ষমা চাইতে হবে কাশ্মীরের নেতাকে। একই দাবি জানানো কেন্দ্রের তরফেও। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, লোনকে ক্ষমা চাইতেই হবে। সেই মতো মঙ্গলবারের মধ্যে লোনকে হলফনামা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। যা কার্যত বেনজির ‘সাজা’।