সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশানে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার সকালে তাঁকে জেরা করে ইডির আধিকারিকরা। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ফারুক। আর তাই তাঁকে ভয় দেখাতে কেন্দ্র সরকার ইডিকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে দলের নেতা-কর্মীরা।
২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেইসময় ৪৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। দুর্নীতির অভিযোগে ফারুক আবদুল্লাহ-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও ফাইল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ হওয়ায় তদন্ত করছে এনফোরসমেন্ট ডিরেক্টরেটও। সেই সূত্রেই এদিন বর্ষীয়ান নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে। ২০১৯-এর ৫ আগস্ট অর্থাৎ গৃহবন্দী হওয়ার আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
[আরও পড়ুন : থানায় আটকে রেখে ১০ দিন ধরে গণধর্ষণ! কাঠগড়ায় পাঁচ পুলিশকর্মী, লজ্জার ছবি মধ্যপ্রদেশে]
এদিকে এই জিজ্ঞাসাবাদকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে কটাক্ষ করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরাতে আমরা আন্দেলনে নেমেছি। গুপকার ডিক্লেয়ারেশন মেনে পিপলস অ্যালিয়েন্স করেছি। এরপরই ইডি চিঠি পাঠায়। তাঁদের আরও অভিযোগ, “কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে।”
২০১৯-এর ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ওই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা তুলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ – দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়ার আইন পাশ হয় সংসদে। রাজ্যবাসীর সুরক্ষার স্বার্থ দেখিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিকে প্রথমে গৃহবন্দি, পরে আটক করে বন্দি শিবিরে রাখা হয়েছিল। বর্ষীয়ান ফারুক আবদুল্লা অবশ্য গৃহবন্দিই ছিলেন। সকলে মুক্তি পাওয়ার পর ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বে রাজ্যের সবক’টি মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলের মধ্যে বৈঠকে একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার থেকে পিডিপি-এনসি-পিসি সবাই লড়বেন ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবিতে। এরপরইন ইডি চিঠি পাঠানোয় এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে রাজনৈতিক মহল।