সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালার যোগ আছে বলে অনুমান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীর বয়ান ফের খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসে তল্লাশির পর নতুন করে কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে।
ইডি (ED) সূত্রের দাবি, ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে যুক্ত ইয়ং ইন্ডিয়ান লিমিটেডের সঙ্গে কলকাতা এবং মুম্বইয়ের একাধিক হাওয়ালার লেনদেন হত বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। ইয়ং ইন্ডিয়ানের (Young Indian) অফিসে তল্লাশি করার পর আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ইডি। যদিও ইয়ং ইন্ডিয়ানের কোনও আধিকারিক উপস্থিত না থাকায় সংস্থার দপ্তরে এখনও তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। সেকারণেই ওই অফিস সিল করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘যারা ৫২ বছর তেরঙ্গা উত্তোলন করেনি…’ গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর]
ইডি সূত্রের দাবি, হেরাল্ডের অফিসে তল্লাশির পরই হাওয়ালা যোগ সম্পর্কিত নথি উদ্ধার হয়েছে। তারপরই এই মামলায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং সোনিয়া গান্ধীর দেওয়া বয়ান পুনরায় খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রাহুল এবং সোনিয়া যে দাবি করেছেন হেরাল্ড সংক্রান্ত সব লেনদেন মতিলাল ভোরা করতেন, সেটা পুরোপুরি ঠিক নয় বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। তাছাড়া ইয়ং ইন্ডিয়ানের মাধ্যমে যে গান্ধীরা আর্থিকভাবে লাভবান হননি, সেটাও মানতে নারাজ ইডি আধিকারিকরা। শোনা যাচ্ছে, ইয়ং ইন্ডিয়ানের অফিসে তল্লাশির পর বড়সড় পদক্ষেপ করতে পারে ইডি।
[আরও পড়ুন: থরে থরে সাজানো নোট! মধ্যপ্রদেশের সরকারি কর্মীর বাড়িতে হানা দিয়ে হতবাক তদন্তকারী দল]
এদিকে, যথারীতি ইডির এই তৎপরতাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। এদিন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের (Congress) দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে প্রশ্ন তুলেছেন,”যেভাবে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, সেভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না। এভাবে সংবিধান অনুযায়ী কাজ করা যায় না।” রাহুল গান্ধীও এদিন হুঙ্কার ছেড়েছেন, ”আমরা ভয় পাই না। বিজেপি যা খুশি করুক। আমি দেশকে রক্ষা করার কাজ করে যাব। গণতন্ত্র ও সৌভ্রাতৃত্বকে রক্ষা করব।”