অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাওড়ায় জাতীয় স্তরের এক কিশোরী ক্যারাটে খেলোয়াড়ের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার নিজের ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়। হাওড়ার বাসিন্দা ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, তিন বন্ধু মিলে তাঁদের মেয়েকে ব্ল্যাকমেল করত। তার জেরেই ‘আত্মঘাতী’ হয়েছে ওই কিশোরী। যদিও নাবালিকার মায়ের দাবি, আত্মহত্যা নয়, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এদিকে হাওড়া পুলিশের এক পদস্থ কর্তার দাবি, এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। সেই সূ্ত্রে মোবাইলে ঘনিষ্ঠ ছবি দেওয়া-নেওয়া নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল কিশোরীকে। সেই কারণেই আত্মহত্যা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার রাতে বালিতে নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ মেলে ওই কিশোরীর। নাম পামেলা অধিকারী(১৪)। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। জাতীয়স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত পামেলা। অন্যদিকে ইউটিউবেও নিজের চ্যানেল ছিল পামেলার। হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছ্বল কিশোরীকে এলাকায় প্রায় সকলেই চিনত। আচমকা তাঁর মৃত্যুতে শোকার্ত গোটা এলাকা।
[আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মোদিকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর]
মৃত কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। যে মেয়ে জুতোর ফিতে বাঁধতে পারে না সে কী করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে? অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও জানিয়েছেন, “মেয়েকে ওর দুই বন্ধু ব্ল্যাকমেল করত। তারাই ওকে হত্যা করেছে।” একই কথা শোনা গিয়েছে কিশোরীর বাবার মুখেও। তবে কে বা কারা কী কারণে কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করত, সে বিষয়ে সদুত্তর তাঁরা দিতে পারেননি। এদিকে বালি থানায় পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বালি থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল রাতে বিশেষ দরকারে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছিলেন কিশোরীর মা। ফিরে বাথরুমে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়ের দেহ। এর পরই পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। তবে এমন একজন প্রাণোচ্ছ্বল কিশোরী কেন আত্মহত্যা করল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। যদিও মেয়ের আত্মহত্যার কথা মানতে নারাজ মা।