সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরও এক দাওয়াই দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। অব্যবহৃত যাবতীয় সামগ্রীর দাম নির্ধারণ করবে সরকার এবং তার মালিকানা থাকবে কেন্দ্রের হাতে। এই মর্মে ৬ লক্ষ কোটি টাকার National Monetisation Pipeline (NMP) প্রকল্প চালু করা হল। আর এই প্রকল্পের বিরোধিতাতেই গর্জে উঠল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানালেন, আর্থিক সংস্কারের এই রাস্তা নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়নি, এটা ইস্তেহারেও ছিল না। নিয়ম না মেনেই এটি চালু হয়েছে। NMP-তে বেসরকারিকরণের পথ আরও প্রশস্ত হল বলেও মনে করছেন তৃণমূল সাংসদ।
[আরও পড়ুন: তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানির মাঝেই সামান্য স্বস্তি, ১৫৬ দিনে দেশে সর্বনিম্ন Corona অ্যাকটিভ কেস]
প্রকল্পটির পক্ষে নির্মলা সীতারমণের বক্তব্য ছিল, কোনও অব্যবহৃত সামগ্রী, যার কোনও মালিকানা নেই, সম্পদ হলেও যা দিনের পর দিন অবহেলায় পড়ে রয়েছে, সেসবের নির্দিষ্ট অর্থমূল্য ধার্য করে বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে ব্যবহার করা হোক। তবে এই অর্থের লভ্যাংশ থাকুক কেন্দ্রের হাতে। তাতে কোষাগারের চাপ কিছুটা কমতে পারে বলে আশা তাঁর। কীভাবে এই কাজ হবে, তার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপের কথাও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নীতি আয়োগের (Niti Ayog) সিইও অমিতাভ কান্ত অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবের আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, চার বছর পর এসবের নির্দিষ্ট মূল্য স্থির করা হবে।
[আরও পড়ুন: Jammu-Kashmir Encounter: সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত সোপোর, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা]
সোমবার তাঁর এই ঘোষণার পর মঙ্গলবারই NMP-র বিরোধিতায় সরব হল তৃণমূল। প্রক্রিয়াটি আদতে কী, কেমন, তা বিশদে ব্যাখ্যা করে সুখেন্দুশেখর রায়ের (Sukhendu Sekhar Roy) বক্তব্য, এটা জনবিরোধী এক নীতি। এতে সরকার নিয়ন্ত্রিত একাধিক সামগ্রী বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার রাস্তা চওড়া হচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের মতে, এটি আসলে লিজ প্রক্রিয়ার মতোই। নির্দিষ্ট সময় পর তা বিক্রিও করা যাবে। NMP সংক্রান্ত কাগজ খতিয়ে দেখে তিনি জানাচ্ছেন, এ ধরনের সম্পত্তির মধ্যে যেমন রেল স্টেশন রয়েছে, তেমনই রয়েছে জাতীয় গ্যাস পাইপলাইন, রাস্তা, বিদ্যুৎ প্রকল্প-সহ একাধিক সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পদ। জাহাজবন্দর, বিমানবন্দরকেও এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
আর এই ভাবেই বেসকারিকরণের পথে এগোতে চাইছে কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ তাঁর। তবে তার চেয়েও তৃণমূলের বড় আপত্তি, কেন সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা ছাড়াই এই প্রকল্প চালু করা হল? ফলে National Monetisation Pipeline নিয়ে ফের আরেকবার সংঘাতে কেন্দ্র-রাজ্য।