সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি তথা সংঘ পরিবারের ভোট প্রচারের মূল অস্ত্র কী? চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, ‘জাতীয়তাবাদ’। এই জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলেই অর্থনীতি, বেকারত্বের মতো ইস্যুকে চাপা দিয়ে দ্বিতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। অন্তত বিরোধী শিবির এমনটাই দাবি করে। কিন্তু এবার বিজেপির হাত থেকে এই ‘জাতীয়তাবাদ’ অস্ত্রটিই কেড়ে নিতে চাইছে আরএসএস! সংঘ পরিবারের প্রধান মোহন ভাগবত(Mohan Bhagwat) খোদ তাঁর অনুগামীদের নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও বক্তব্যে কোনওভাবে ‘জাতীয়বাদ’ শব্দটিই ব্যবহার করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: গান্ধীদের সরানোর ডাক! কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বে বদল চেয়ে সরব দুই শীর্ষ নেতা]
বৃহস্পতিবার রাঁচিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহন ভাগবত আমেরিকায় এক কর্মীর সঙ্গে নিজের কথোপকথনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “জাতীয়তাবাদ শব্দটি ব্যবহার করবেন না। ‘দেশ’ বলবেন চলবে। ‘জাতীয়’ করবেন চলবে। কিন্তু জাতীয়তাবাদ শব্দটি বলবেন না। কারণ, জাতীয়তাবাদ শব্দটির মানে হয়, হিটলার নাৎসিবাদ।” এদিন আরএসএস সুপ্রিমো স্বীকার করে নেন মৌলবাদী চিন্তাধারার জন্য দেশে অশান্তি চলছে। তিনি বলেন,”মৌলবাদী চিন্তাধারার জন্য দেশে অশান্তি চলছে। ভারতের এটা বহু পুরনো পন্থা। আমরা কাউকে দাস বানিয়ে রাখি না। আমরা কারও দাস হিসেবেও থাকি না। আমরা চিরদিনই সকলকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। ভারতের সংস্কৃতি হিন্দুদের সংস্কৃতি।”
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে চুরির অভিযোগে বেধড়ক মার ২ দলিত যুবককে, যৌনাঙ্গে ঢালা হল পেট্রল]
ভাগবতের এই মন্তব্যের পর একটাই প্রশ্ন উঠছে। তবে কি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভকে ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির? কারণ, CAA পাশ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বারবার হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। জাভেদ আখতারের মতো অভিনেতারাও প্রধানমন্ত্রীকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে আক্রমণ করেছেন। সেই ফ্যাসিজমের তকমা সরাতে এবার ‘ন্যাশনালিজম’ শব্দটিই ছেটে ফেলতে চাইছে আরএসএস।
The post প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না ‘জাতীয়তাবাদ’, অনুগামীদের নির্দেশ মোহন ভাগবতের appeared first on Sangbad Pratidin.