নীলাদ্রি চক্রবর্তী, লন্ডন: রাজতন্ত্র, রাজার শাসন, রাজপরিবারের গরিমার ছটায় নিজেদের আলোকিত করা। এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে বিশ্বের নানা ছোট-মাঝারি দেশকে নিজেদের অধীনে রেখেছিল ব্রিটেন (UK)। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেসব দেশ আর রাজশাসনের শিকলে বন্দি থাকতে চায় না। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা যেন ফের জ্বলে উঠল রানি এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) মৃত্যুতে। নতুন রাজা চার্লসের (King Charles III) শাসনকালে বহু দেশই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় ব্রিটেনের সঙ্গে। এখন থেকেই উঠছে সেই রব।
আজ নয়, ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনের পর অনেক দেশ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে এসেছিল –
- ১৯৭০ সাল – গায়ানা, ত্রিনিদাদ-টোবাগো, ডমিনিকা
- ১৯৮৭ সাল – ফিজি দ্বীপপুঞ্জ
- ১৯৯২ সাল – মরিশাস
- ২০২১ সাল – বার্বাডোজ
৫৪টি কমনওয়েলথ দেশের মধ্যে ১৫ টি এখনও রাজতন্ত্রের অধীনে –
- অস্ট্রেলিয়া
- অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
- বেলিজ
- কানাডা
- গ্রেনাডা
- জামাইকা
- নিউজিল্যান্ড
- পাপুয়া নিউ গিনি
- সেন্ট কিটস ও নেভিস
- সেন্ট লুসিয়া
- সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
- সলোমন আইল্যান্ড
- বাহামা ও তুভালু
এই কয়েকটি দেশ আগেই বেরিয়ে এসেছে রানির শাসন থেকে। তার মধ্যে সাম্প্রতিকতম ঘটনা ঘটেছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ বার্বাডোজে (Barbados)। এবার রাজা চার্লসের শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পালা। ইতিমধ্যেই জামাইকা (Jamaica)ঘোষণা করে দিয়েছে, তারা ২০২৫ সালের মধ্যে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করবে। বৃহস্পতিবার রাতে রানির মৃত্যু সংবাদ সেখানে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানকার পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা মিখাইল ফিলিপ ঘোষণা করেন, সেই মুহূর্ত থেকেই স্বাধীন জামাইকা। এর আগে জামাইকা সফরে গিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল যুবরাজ প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেটকে। সেসময় তাঁরা ওই দাবি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ডিএসপি-তে ইস্পাত উৎপাদন শুরু হয়েছিল রানি এলিজাবেথের হাত ধরে, স্মৃতি ফিরল দুর্গাপুরে]
অস্ট্রেলিয়াতেও (Australia) সেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় এনিয়ে আলোচনা হয়। একই বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ করতে চায় ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ বাহামা, সেন্ট লুসিয়া, বেলিজ – এই তিন দেশ।