সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই যুদ্ধে জড়াচ্ছে না ন্যাটো (NATO) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। তবে রুশ আগ্রাসনের দিকে নজর রেখে মিত্র দেশগুলিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে। প্রস্তুত থাকবে সেনা এবং যুদ্ধবিমান। ইউক্রেনের (Ukraine) পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শুক্রবার রাতে এমনটাই ন্যাটোর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, কিয়েভকে ‘রাজনৈতিক’ ও ‘বাস্তবিক’ সাহায্য করবে ন্যাটো।
রুশ বাহিনী কিয়েভে ঢুকতেই ব্রাসেলসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে ন্যাটোর সদস্যরা। দীর্ঘ বৈঠক শেষে বিবৃতি জারি করা হয়। যার মূল বক্তব্য, “রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করছে ন্যাটো। কোনওরকম যুদ্ধ, আগ্রাসনকে ন্যাটো সমর্থন করে না। এই পদক্ষেপের জন্য রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল শেষ প্রতিরোধ! ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকল রুশ বাহিনী]
তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, রুশ আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে ন্যাটোর বিমানবাহিনীকে তৈরি রাখা হচ্ছে। প্রস্তুত থাকবে ন্যাটোর পদাতিক বাহিনীও। গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিতে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। জলপথেও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির সম্পত্তি রক্ষা করা হবে।
রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোনও তথ্য জানায়নি ন্যাটো। তাদের তরফে বলা হয়েছে,” ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও বাস্তবিক সাহায্য করা হবে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয় ন্যাটো।” পাশাপাশি, ইতিমধ্যে রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি এবং ইউরোপীয়ও ইউনিয়ন। পরবর্তী সময়ও এধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে ন্যাটো। সবমিলিয়ে ন্যাটোর কাছ থেকে আপাতত সাহায্যের আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পেল না ইউক্রেন।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনেই থামবে রুশ আগ্রাসন? নাকি আরও বড় প্ল্যান পুতিনের? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা]
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটো প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভারতীয় সময় রাত দেড়টায় নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া নিয়ে ভোটাভুটি রয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। যেখানে ভারত-সহ ২৫টি দেশ অংশগ্রহণ করবে বলে খবর।