সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের রাজনীতিতে ফের নাটকীয় মোড়। যার জন্য ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরালো কংগ্রেস, সেই নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। মঙ্গলবার সকালেই সোনিয়া গান্ধীকে সংক্ষিপ্ত একটি চিঠি লিখে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন সিধু। যা কংগ্রেসের অন্দরে বিনা মেঘে বজ্রপাতের শামিল।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে আনা হয়েছিল সিধুকে। রীতিমতো দলের অন্দরে এবং সেসময়ের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দলের অন্দরে উত্তরণ হয় সিধুর। এ হেন মহার্ঘ পদ তিনি হঠাৎ কেন ছাড়লেন, তা নিয়ে রীতিমতো ধন্দে রাজনৈতিক মহল। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) লেখা চিঠিতে সিধু জানিয়েছেন, “আমি কখনও কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করতে পারব না। আপস করলেই মানুষের চারিত্রিক অবনমন হয়। আমি কখনও পাঞ্জাবের ভবিষ্যৎ এবং উন্নয়নের সঙ্গে আপস করতে রাজি নই।”
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি খোয়ানোর পর এবার বিজেপির পথে পাঞ্জাবের ‘ক্যাপ্টেন’? তুঙ্গে জল্পনা]
আসলে, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে (Amrinder Singh) সরানোর পর সিধু নিজেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তাঁর সমর্থক বিধায়করা সিধুর নাম প্রস্তাবও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী না করে চরণজিত সিং চান্নিকে বেছে নেয়। সেসময় সিধুকে বলা হয়, তাঁর অনুগামীদের বেশি করে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পর দেখা যাচ্ছে, সিধু ঘনিষ্ঠরা সেভাবে জায়গা পাননি। তাতেই গোঁসা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটারের। সম্ভবত সেকারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: ২০১ দিন পর দেশের কোভিড গ্রাফে বড়সড় স্বস্তি! গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ কুড়ি হাজারের কম]
সিধুর এই ইস্তফা পাঞ্জাব কংগ্রেসের জন্য বড়সড় ধাক্কা হতে পারে। কারণ, অমরিন্দরের পর সিধুই ছিলেন পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। স্বাভাবিকভাবেই সিধুর এই ক্ষোভ সামাল দেওয়া না গেলে, আগামী দিনে পাঞ্জাবে বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়তে পারে কংগ্রেস।