স্টাফ রিপোর্টার: চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাম ও কংগ্রেস হাত মেলালেও সেই জোটে ছিল না আইএসএফ। আইএসএফ জোটে আগ্রহী ছিল না বলে বামেরা অভিযোগ করেছিল। এবার তাদের পালটা জবাব দিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। জোট না হওয়ার জন্য বাম-কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন তিনি। লোকসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটের বিপর্যয়ের পর তাদের অস্বস্তি বাড়ালেন নওশাদ সিদ্দিকি(Nawsad Siddique)।
বাম ও কংগ্রেসের কাটা ঘায়ে ফের নুনের ছিটে দিয়ে নওশাদের বিস্ফোরক দাবি, ‘‘জোট চেয়েছিলাম। কিন্তু কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে অনেকেই জোট চাননি। জোট হলে বেশি সংখ্যায় সিট পেতাম।’’ বাম-কংগ্রেস থেকে অনেক ভোট তৃণমূলে গিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। সোমবার নওশাদ আরও বলেন, ‘‘এমন অনেক সিট আছে যেখানে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি জিতেছে। না হলে বিজেপির আসন ১০-এর নিচে নেমে যেত, ৮টিও হয়ে যেতে পারত। তৃণমূলের আসনও কমত।’’ নওশাদের বক্তব্য, ‘‘যাঁরা দিনের বেলা বামপন্থী, রাতের বেলা ধান্দাপন্থী, তারাই এধরনের কথা বলতে পারেন। আমি বামপন্থাকে সম্মান করি। যাঁরা প্রকৃত বামপন্থায় বিশ্বাসী, তাঁদেরও আমি সম্মান করি। কিন্তু যাঁরা বামপন্থার আড়ালে তৃণমূল ও বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছে, তাঁদের আমি ধিক্কার জানাই।’’
[আরও পড়ুন: ফের সোনার দোকানে ডাকাতি, রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়]
উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূল রাজ্যে একাই ৪২ আসনে লড়েছে। অন্যদিকে, সিপিএম ও কংগ্রেস শেষমেশ জোট বাঁধে। আইএসএফ প্রথমে ১২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়। আইএসএফের দাবি, তারা নূন্যতম যে কয়েকটা আসন চেয়েছিল সেটাও বামেরা দিতে রাজি হয়নি। এ প্রসঙ্গেই এদিন নওশাদের দাবি, ‘‘প্রথমে তো অধীরবাবু বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর বামেরা আমাদের সঙ্গে জোট করেনি।’’ এদিকে, নওশাদকে পালটা দিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘প্রথম যে লোক ভোট ঘোষণার আগে থেকে বাজার গরম করেছিল দাঁড়াবে বলে, তিনি হচ্ছেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি মাঝরাস্তা থেকে চলে গেলেন। কেন চলে গেলেন?’’ সুজনের কথায়, ‘‘তৃণমূল বা বিজেপির বিরুদ্ধে সব ভোটকে এক জায়গায় রাখতে না পারার মতো মনোভাব কারও কারও কাজ করে। অন্য কারও ঘাড়ে দোষ দিয়ে লাভ হবে না।’’ নওশাদের বক্তব্য, ‘‘যাঁরা দিনের বেলা বামপন্থী, রাতের বেলা ধান্দাপন্থী, তারাই এধরনের কথা বলতে পারেন। আমি বামপন্থাকে সম্মান করি।’’